সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ বিন কায়কাউস এর জীবনী | Sultan Masud Bin Kaykawus Biography |

সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ-  গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ বিন কায়কাউস আনাতোলিয়ান সুলতান ছিলেন।  ১২৮৪ খৃষ্টাব্দ থেকে ১৩০৮ খৃষ্টাব্দে রোমের সুলতান উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি ইজ্জেদ্দিন কায়কাউসের পুত্র ছিলেন।  ইতিহাসে তাকে দ্বিতীয় মাসুদ বলে শনাক্ত করা হয়, কেননা এর পূর্ববর্তী শাসকগণের নাম তার নামানুসারে ছিলো।  উক্ত সময় গুলোতে আনাতোলিয়ান সেলজুক সাম্রাজ্যটি মোঙ্গল সাম্রাজ্যের অধীনে ছিলো, এবং তিনি মোঙ্গল বাহিনীর প্রধানের কাছে নতি স্বীকার করেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, সেজন্য সেলজুক সাম্রাজ্যটি মোঙ্গল বাহিনীকে কর প্রদান করে আসতো। মোঙ্গলদের সহায়তায় তিনি চারবার সিংহাসনে আরোহণ করেন। এবং প্রতিবারই মোঙ্গলদের অনুগত শাসক হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন।  ১৩০৮ সালে সামসুন নামক স্থানে সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ মৃত্যুবরণ করেন তখন আনাতোলিয়ান সেলজুক সাম্রাজ্যটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।  তুর্কি ইতিহাসে ১৩০৬ সালের পর থেকে অর্থাৎ সুলতান মাসুদ ও তার ইতিহাসের রেকর্ড গুলো অদৃশ্য হয়ে যায়, তবুও সাম্প্রতিক গবেষণায় ২০১৫ সালে তার কবর শামসুনে শনাক্ত করা হয়েছে।   মোঙ্গলদের সহায়তায় তিনি চারবার সিংহাসন লাভ করেন, সাল গুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ-  গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ (দ্বিতীয় ) ১২৮২–১২৮৪ সাল।গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ দ্বিতীয় (দ্বিতীয়বার সিংহাসনে আরোহন) ১২৮৪–১২৯৩ সাল।গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ (দ্বিতীয়) (তৃতীয় বার সিংহাসন লাভ) ১২৯৪–১৩০১ সাল।গিয়াত আদ-দ্বীন মাস'উদ (দ্বিতীয়) (চতুর্থবার সিংহাসন লাভ) ১৩০৩–১৩০৭ সাল।  আলাউদ্দিন কায়কোবাদ ( তৃতীয়) তার স্থলাভিষিক্ত হন, এবং প্রতিবারে একজন আরেকজনের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়।   সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদের সিংহাসন লাভঃ-  তিনি তার যৌবনের কিছু অংশ ক্রিমিয়ায় নির্বাসিত হিসাবে কাটিয়েছিলেন এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপলে কিছু সময়ের জন্য বসবাস করেছিলেন। তিনি সিংহাসনের  লোভে ১২৮০ সালে আনাতোলিয়ায় প্রথমবারের মতো উপস্থিত হন।   ১২৮৪ সালে নতুন ইলখানের  সুলতান আহমদকে এবং সেলজুক সুলতান গিয়াস উদ্দিন কায়খুসরাউকে (তৃতীয়) পদচ্যুত করেন অতঃপর মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এবং তার জায়গায় তিনি সেলজুক মসনদে বসেন। আহমদের উত্তরসূরি "আরগুন" সেলজুকের  জমি গুলো ভাগ করে দেন এবং ক্ষমতাচ্যুত সুলতানের দুই ছেলেকে কোনিয়া এবং রাজ্যের পশ্চিমের অর্ধেক অংশ প্রদান করেন। গিয়াস উদ্দিন মাসুদ একটি ছোট বাহিনী নিয়ে দুই ছেলেকে আক্রমণ করেন এবং বন্দি করা অবস্থায় তাদেরকে হত্যা করেন এবং ১২৮৬ সালে উক্ত সাম্রাজ্যে নিজেকে সুলতান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।  সুলতান মাসুদের জার্মিয়ানিদের সঙ্গে পরাজয়ঃ  তিনি উদীয়মান তুর্কমেনীয় রাজত্ব,  এবং  বেয়লিকদের বিরুদ্ধাচরণ করতেন, নিজের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে  তুর্কমেনীয়দের সঙ্গে কঠোরতা ও শত্রুতা পোষণ করতেন, সবসময়ই মঙ্গোলদের অনুগত হিসেবে রাজ্যের কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করতেন। এবং সাধারণত মঙ্গোলিয়ান সেনাদের সাথে বেশ কয়েকটি অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জার্মিয়ানিদের বিরুদ্ধে ১২৮৬ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া অভিযান। জার্মিয়ানিরা ছিল তুর্কমেন বংশোদ্ভূত যা একটি শক্তিশালী গোষ্ঠি। সেলজুকদের দ্বারা একটি প্রজন্মের পূর্বে দক্ষিণ -পশ্চিম আনাতোলিয়ায় বসতি স্থাপন করেছিল যাতে তারা তুর্কমেনীয় যাযাবরদের নিয়ন্ত্রণে রাখে।  সুলতান গিয়াস উদ্দিনের নেককার জনক কার্যক্রম এবং মোঙ্গলবাহিনীর অনুগত দেখতে পেয়ে  জার্মিয়ানিরা বিদ্রোহ করতে লাগলো, ১২৮৬ সালের শেষের দিকে সুলতান মাসুদের প্রবীণ উজির ও রাজনৈতিক ব্যাক্তি ফখর আল দিন আলীর নেতৃত্বে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথমে সেলজুক বাহিনী ও মোঙ্গলদের সাফল্য থাকলেও পরবর্তীতে তারা লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে গেলো।  এবং কারামাইন্ডস, এশ্রেফিড এবং জার্মিয়ানিদের বিরুদ্ধে নিরর্থক অভিযান পরিচালনা করেছিলো।   কারামাইন্ডসরা হলো কারামাইন রাজবংশের আনাতোলিয়ান শক্তিশালী বেয়লিক। এশ্রেফিড হলো আনাতোলিয়ান বেয়লিক।   কোনিয়া ভিত্তিক সম্মিলিত মঙ্গোল-সেলজুক বাহিনী এবং জার্মিয়ানি বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে সংগ্রাম ১২৯০ সাল অবধি অব্যাহত ছিল। তাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিলো যা ১২৯৯ সাল পর্যন্ত ছিলো।   যার ভিত্তিতে জার্মিয়ান রাজবংশ আঙ্কারার দখলে চলে যায়।   ১২৯৭ সালে ষড়যন্ত্রের বৈশিষ্ট্যযুক্ত পরিবেশে এবং দূরবর্তী ইলখান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ধ্রুব বিদ্রোহের কারণে, মঙ্গোল কমান্ডার এবং স্থানীয় তুর্কমেন ক্ষমতাবান উভয়ের পক্ষ থেকে, সুলতান মাসুদকে ইলখানাতের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্তে জড়িত করা হয়েছিল। তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল কিন্তু তার সিংহাসন থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো এবং তাবরিজে বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছিলো। তার স্থলাভিষিক্ত হয়  কায়কোবাদ (তৃতীয়), যিনি শীঘ্রই অনুরূপ চক্রান্তে জড়িত হন এবং সুলতান মাহমুদ গাজান কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। সুলতান মাসুদ ১৩০৩ সালে চতুর্থবারের মতো সিংহাসনে ফিরে আসেন।   মৃত্যঃ সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ ১৩০৮ সালে শামসুনে মারা যান এবং সাম্প্রতিক গবেষণায় ২০১৫ সালে তার কবর শামসুনে শনাক্ত করা হয়েছে।   অনলাইন ভিত্তিক কয়েকটি ইংরেজী ওয়েবসাইট থেকে তথ্য গুলো নিয়েছি, আমার অনুমতি ব্যাতিত লেখা গুলো কপি করবেন না।  তুর্কি নামঃ- Ghiyāth ad-Dīn Mas'ūd bin Kaykāwūs   মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের বাণী ও উপদেশঃ-
সেলজুক সুলতান 
সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ-  গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ বিন কায়কাউস আনাতোলিয়ান সুলতান ছিলেন।  ১২৮৪ খৃষ্টাব্দ থেকে ১৩০৮ খৃষ্টাব্দে রোমের সুলতান উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি ইজ্জেদ্দিন কায়কাউসের পুত্র ছিলেন।  ইতিহাসে তাকে দ্বিতীয় মাসুদ বলে শনাক্ত করা হয়, কেননা এর পূর্ববর্তী শাসকগণের নাম তার নামানুসারে ছিলো।  উক্ত সময় গুলোতে আনাতোলিয়ান সেলজুক সাম্রাজ্যটি মোঙ্গল সাম্রাজ্যের অধীনে ছিলো, এবং তিনি মোঙ্গল বাহিনীর প্রধানের কাছে নতি স্বীকার করেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, সেজন্য সেলজুক সাম্রাজ্যটি মোঙ্গল বাহিনীকে কর প্রদান করে আসতো। মোঙ্গলদের সহায়তায় তিনি চারবার সিংহাসনে আরোহণ করেন। এবং প্রতিবারই মোঙ্গলদের অনুগত শাসক হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন।  ১৩০৮ সালে সামসুন নামক স্থানে সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ মৃত্যুবরণ করেন তখন আনাতোলিয়ান সেলজুক সাম্রাজ্যটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
তুর্কি ইতিহাসে ১৩০৬ সালের পর থেকে অর্থাৎ সুলতান মাসুদ ও তার ইতিহাসের রেকর্ড গুলো অদৃশ্য হয়ে যায়, তবুও সাম্প্রতিক গবেষণায় ২০১৫ সালে তার কবর শামসুনে শনাক্ত করা হয়েছে।

মোঙ্গলদের সহায়তায় তিনি চারবার সিংহাসন লাভ করেন, সাল গুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ-
  • গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ (দ্বিতীয় ) ১২৮২–১২৮৪ সাল।
  • গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ দ্বিতীয় (দ্বিতীয়বার সিংহাসনে আরোহন) ১২৮৪–১২৯৩ সাল।
  • গিয়াস উদ্দিন মাস'উদ (দ্বিতীয়) (তৃতীয় বার সিংহাসন লাভ) ১২৯৪–১৩০১ সাল।
  • গিয়াত আদ-দ্বীন মাস'উদ (দ্বিতীয়) (চতুর্থবার সিংহাসন লাভ) ১৩০৩–১৩০৭ সাল।
আলাউদ্দিন কায়কোবাদ ( তৃতীয়) তার স্থলাভিষিক্ত হন, এবং প্রতিবারে একজন আরেকজনের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়। 
সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদের সিংহাসন লাভঃ-
তিনি তার যৌবনের কিছু অংশ ক্রিমিয়ায় নির্বাসিত হিসাবে কাটিয়েছিলেন এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপলে কিছু সময়ের জন্য বসবাস করেছিলেন। তিনি সিংহাসনের  লোভে ১২৮০ সালে আনাতোলিয়ায় প্রথমবারের মতো উপস্থিত হন। 
১২৮৪ সালে নতুন ইলখানের  সুলতান আহমদকে এবং সেলজুক সুলতান গিয়াস উদ্দিন কায়খুসরাউকে (তৃতীয়) পদচ্যুত করেন অতঃপর মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এবং তার জায়গায় তিনি সেলজুক মসনদে বসেন। আহমদের উত্তরসূরি "আরগুন" সেলজুকের  জমি গুলো ভাগ করে দেন এবং ক্ষমতাচ্যুত সুলতানের দুই ছেলেকে কোনিয়া এবং রাজ্যের পশ্চিমের অর্ধেক অংশ প্রদান করেন। গিয়াস উদ্দিন মাসুদ একটি ছোট বাহিনী নিয়ে দুই ছেলেকে আক্রমণ করেন এবং বন্দি করা অবস্থায় তাদেরকে হত্যা করেন এবং ১২৮৬ সালে উক্ত সাম্রাজ্যে নিজেকে সুলতান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
সুলতান মাসুদের জার্মিয়ানিদের সঙ্গে পরাজয়ঃ
তিনি উদীয়মান তুর্কমেনীয় রাজত্ব,  এবং  বেয়লিকদের বিরুদ্ধাচরণ করতেন, নিজের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে  তুর্কমেনীয়দের সঙ্গে কঠোরতা ও শত্রুতা পোষণ করতেন, সবসময়ই মঙ্গোলদের অনুগত হিসেবে রাজ্যের কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করতেন। এবং সাধারণত মঙ্গোলিয়ান সেনাদের সাথে বেশ কয়েকটি অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জার্মিয়ানিদের বিরুদ্ধে ১২৮৬ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া অভিযান। জার্মিয়ানিরা ছিল তুর্কমেন বংশোদ্ভূত যা একটি শক্তিশালী গোষ্ঠি। সেলজুকদের দ্বারা একটি প্রজন্মের পূর্বে দক্ষিণ -পশ্চিম আনাতোলিয়ায় বসতি স্থাপন করেছিল যাতে তারা তুর্কমেনীয় যাযাবরদের নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সুলতান গিয়াস উদ্দিনের নেককার জনক কার্যক্রম এবং মোঙ্গলবাহিনীর অনুগত দেখতে পেয়ে  জার্মিয়ানিরা বিদ্রোহ করতে লাগলো, ১২৮৬ সালের শেষের দিকে সুলতান মাসুদের প্রবীণ উজির ও রাজনৈতিক ব্যাক্তি ফখর আল দিন আলীর নেতৃত্বে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথমে সেলজুক বাহিনী ও মোঙ্গলদের সাফল্য থাকলেও পরবর্তীতে তারা লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে গেলো।
এবং কারামাইন্ডস, এশ্রেফিড এবং জার্মিয়ানিদের বিরুদ্ধে নিরর্থক অভিযান পরিচালনা করেছিলো। 
  • কারামাইন্ডসরা হলো কারামাইন রাজবংশের আনাতোলিয়ান শক্তিশালী বেয়লিক।
  •  এশ্রেফিড হলো আনাতোলিয়ান বেয়লিক।
 কোনিয়া ভিত্তিক সম্মিলিত মঙ্গোল-সেলজুক বাহিনী এবং জার্মিয়ানি বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে সংগ্রাম ১২৯০ সাল অবধি অব্যাহত ছিল। তাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিলো যা ১২৯৯ সাল পর্যন্ত ছিলো।
 যার ভিত্তিতে জার্মিয়ান রাজবংশ আঙ্কারার দখলে চলে যায়।

১২৯৭ সালে ষড়যন্ত্রের বৈশিষ্ট্যযুক্ত পরিবেশে এবং দূরবর্তী ইলখান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ধ্রুব বিদ্রোহের কারণে, মঙ্গোল কমান্ডার এবং স্থানীয় তুর্কমেন ক্ষমতাবান উভয়ের পক্ষ থেকে, সুলতান মাসুদকে ইলখানাতের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্তে জড়িত করা হয়েছিল। তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল কিন্তু তার সিংহাসন থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো এবং তাবরিজে বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছিলো। তার স্থলাভিষিক্ত হয়  কায়কোবাদ (তৃতীয়), যিনি শীঘ্রই অনুরূপ চক্রান্তে জড়িত হন এবং সুলতান মাহমুদ গাজান কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। সুলতান মাসুদ ১৩০৩ সালে চতুর্থবারের মতো সিংহাসনে ফিরে আসেন।

মৃত্যঃ সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ ১৩০৮ সালে শামসুনে মারা যান এবং সাম্প্রতিক গবেষণায় ২০১৫ সালে তার কবর শামসুনে শনাক্ত করা হয়েছে।

অনলাইন ভিত্তিক কয়েকটি ইংরেজী ওয়েবসাইট থেকে তথ্য গুলো সংগ্রহ করেছি, আমার অনুমতি ব্যাতিত লেখা গুলো কপি করবেন না।

তুর্কি নামঃ- Ghiyāth ad-Dīn Mas'ūd bin Kaykāwūs 

আমার ফেসবুক আইডিটি ফলো করে সঙ্গে থাকুুন ।


আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী 

ওরহান গাজীর জীবনীঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-  

উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ- 

সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-

তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-

শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের বাণী ও উপদেশঃ-

সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ বিন কায়কাউস এর ইতিহাসঃ-

আইগুল হাতুনের দুঃখ দুর্দশা কেবল বাবা মা'র জন্য 

দোগান আল্পের ইতিহাসঃ-

আয়া নিকোলার সঠিক

মালহুন হাতুনের প্রকৃত ইতিহাস 

তুরগুত আল্পের ইতিহাসঃ-

বামসী বেইরেক খান ইতিহাসঃ-

সেলজান হাতুনের ইতিহাস 

Post a Comment

0 Comments