দোগান আল্পের জীবনী। Dugan Alp Biography |

দোগান আল্পের ইতিহাস   সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ- দোগান আল্প ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির একজন বীর সাহসী সেনা । তিনি আর্তুগ্রুল গাজীর তিনজন বিশ্বস্ত বন্ধুদের মধ্যে একজন ছিলেন।  বামসি বেরেক, তুরগুত আল্প এবং দোগান আল্প তারা ছিলো আর্তুগ্রুলের সবচাইতে কাছের বন্ধু।  যুদ্ধের ময়দানে তাদের প্রত্যেকের অসীম সাহসী ভূমিকা থাকতো। এই তিনজনকে আর্তুগ্রুল গাজী সবসময়ই সঙ্গে রাখতেন।  এবং নিজের রক্তের ভাই ভাবতেন। এক সঙ্গে মোঙ্গল , নাইট ও কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ করতেন ও বিজয় ছিনিয়ে আনতেন। কারাকাহিসার দুর্গ জয় করার সময় দোগান আল্পের অবদান ছিলো সবচাইতে বেশি।  তিনি একাই অধিকাংশ কাফেরদের হত্যা করেছিলেন।   দোগানের স্ত্রী বানু চিচেক  দোগান আল্পের বিবাহঃ   সহযোদ্ধা বামসীর মতো তিনি বিয়ে নিয়ে ভাবেন নি, সবসময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গেছেন, আর্তুগ্রুল গাজী কে , বসতিকে আর নিজের গোষ্ঠির মানুষকে মনে প্রাণে ভালোবেসে ছিলেন। একটা রোমান্টিক প্রেম কাহিনীর মতো দুয়ান আল্পের ভালোবাসা ছিলো, যা সত্যিই বাস্তবতাকেও হার মানিয়ে নিয়েছে। বসতিতে যখন নয়ান নামের এক মোঙ্গল কমান্ডারের অত্যাচারে সবাই যখন দিশেহারা হয়ে পড়লো, সৈন্যরা দারুন ভাবে  ব্যতিব্যস্ত , বেইলিকরা চিন্তিত, আর এই দিকে মোঙ্গলদের সঙ্গে যুদ্ধ করে দোগান আল্পও খুবই ক্লান্ত, এমন সময় দোদুর্গা বসতিতে একটা যুবতী কায়ী বসতিতে আশ্রয় নিলো, এবং সেখানে পরিচিত  মামার তাবুতে অবস্থান নিলো, কিছুদিন পর দোগান আল্প তাবুর কাছ থেকে  এই যুবতীকে দেখতে পেলেন, এবং প্রথম দর্শনে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। যতদিন যায় মেয়েটির কাছাকাছি গিয়ে নিজেকে প্রকাশ করেন। এভাবে একদিন সে মেয়েটিকে নিজের ভালো লাগার দিক গুলো সুন্দর করে তুলে ধরে  ,  বিষয়টি আর্তুগ্রুল গাজীর নজরে আসে, এবং তাদের উভয়কে নিজের তাবুতে নিয়ে আসলেন এবং বিয়ের দিন ধার্য্য করলেন।  প্রত্যেকেই মহা আনন্দিত হলো এবং বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলো।  দোগান আল্পের বন্ধুরা বামসী তুরগুত বে সবাই অনেক মজা করলেন।  দোগান আল্পের স্ত্রীর নাম ছিলো বানু চিচেক।   যেভাবে দোগান আল্পের মৃত্যু হলোঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর ছোট্ট ভাই দোন্দার বে'র বোকামীর কারণে দোগান আল্পের মৃত্যু হলো। সহজ করে বলা হচ্ছে- আর্তুগ্রুল গাজী তাদেরকে অর্থাৎ দোয়ান আল্প ও দোন্দার বে কে একটি জায়গায় পাঠালেন এবং উক্ত যাত্রার  কথা গুলো যেনো গোপন থাকে , দোন্দার বে একটি মেয়েকে ভালোবাসতো, সেই মেয়েটিকে সহজ সরল ভাষায় গন্তব্যের জায়গাটি বলে দিলো, সে তার বাবাকে গোপনীয়তা খুলে বললো, মেয়েটি ও তার বাবা ছিলো বিশ্বাসঘাতক, তারা দুইজনই একটা চক্রান্ত করে উক্ত কথা গুলো কাফেরদের কাছে বলে দিলো। কাফেররা আক্রমণ করলো তাদের দুইজনকে, উভয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই  হলো, এবং দোন্দার বে ও দোগান আল্প জখম হলেন , এবং বসতিতে আনার পর দোগান আল্পের মৃত্যু হলো, যার কবরস্থান  তুর্কিতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজ থেকে দোগান আল্পের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
দোগান আল্পের ইতিহাস 

সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ- দোগান আল্প ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির একজন বীর সাহসী সেনা । তিনি আর্তুগ্রুল গাজীর তিনজন বিশ্বস্ত বন্ধুদের মধ্যে একজন ছিলেন।  বামসি বেরেক, তুরগুত আল্প এবং দোগান আল্প তারা ছিলো আর্তুগ্রুলের সবচাইতে কাছের বন্ধু।  যুদ্ধের ময়দানে তাদের প্রত্যেকের অসীম সাহসী ভূমিকা থাকতো। এই তিনজনকে আর্তুগ্রুল গাজী সবসময়ই সঙ্গে রাখতেন।  এবং নিজের রক্তের ভাই ভাবতেন। এক সঙ্গে মোঙ্গল , নাইট ও কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ করতেন ও বিজয় ছিনিয়ে আনতেন। কারাকাহিসার দুর্গ জয় করার সময় দোগান আল্পের অবদান ছিলো সবচাইতে বেশি।  তিনি একাই অধিকাংশ কাফেরদের হত্যা করেছিলেন। 

দোগানের স্ত্রী বানু চিচেক

দোগান আল্পের বিবাহঃ 

সহযোদ্ধা বামসীর মতো তিনি বিয়ে নিয়ে ভাবেন নি, সবসময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গেছেন, আর্তুগ্রুল গাজী কে , বসতিকে আর নিজের গোষ্ঠির মানুষকে মনে প্রাণে ভালোবেসে ছিলেন। একটা রোমান্টিক প্রেম কাহিনীর মতো দুয়ান আল্পের ভালোবাসা ছিলো, যা সত্যিই বাস্তবতাকেও হার মানিয়ে নিয়েছে। বসতিতে যখন নয়ান নামের এক মোঙ্গল কমান্ডারের অত্যাচারে সবাই যখন দিশেহারা হয়ে পড়লো, সৈন্যরা দারুন ভাবে  ব্যতিব্যস্ত , বেইলিকরা চিন্তিত, আর এই দিকে মোঙ্গলদের সঙ্গে যুদ্ধ করে দোগান আল্পও খুবই ক্লান্ত, এমন সময় দোদুর্গা বসতিতে একটা যুবতী কায়ী বসতিতে আশ্রয় নিলো, এবং সেখানে পরিচিত  মামার তাবুতে অবস্থান নিলো, কিছুদিন পর দোগান আল্প তাবুর কাছ থেকে  এই যুবতীকে দেখতে পেলেন, এবং প্রথম দর্শনে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। যতদিন যায় মেয়েটির কাছাকাছি গিয়ে নিজেকে প্রকাশ করেন। এভাবে একদিন সে মেয়েটিকে নিজের ভালো লাগার দিক গুলো সুন্দর করে তুলে ধরে  ,  বিষয়টি আর্তুগ্রুল গাজীর নজরে আসে, এবং তাদের উভয়কে নিজের তাবুতে নিয়ে আসলেন এবং বিয়ের দিন ধার্য্য করলেন।  প্রত্যেকেই মহা আনন্দিত হলো এবং বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলো।  দোগান আল্পের বন্ধুরা বামসী তুরগুত বে সবাই অনেক মজা করলেন।

দোগান আল্পের স্ত্রীর নাম ছিলো বানু চিচেক। 

যেভাবে দোগান আল্পের মৃত্যু হলোঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর ছোট্ট ভাই দোন্দার বে'র বোকামীর কারণে দোগান আল্পের মৃত্যু হলো। সহজ করে বলা হচ্ছে- আর্তুগ্রুল গাজী তাদেরকে অর্থাৎ দোয়ান আল্প ও দোন্দার বে কে একটি জায়গায় পাঠালেন এবং উক্ত যাত্রার  কথা গুলো যেনো গোপন থাকে , দোন্দার বে একটি মেয়েকে ভালোবাসতো, সেই মেয়েটিকে সহজ সরল ভাষায় গন্তব্যের জায়গাটি বলে দিলো, সে তার বাবাকে গোপনীয়তা খুলে বললো, মেয়েটি ও তার বাবা ছিলো বিশ্বাসঘাতক, তারা দুইজনই একটা চক্রান্ত করে উক্ত কথা গুলো কাফেরদের কাছে বলে দিলো। 

কাফেররা আক্রমণ করলো তাদের দুইজনকে, উভয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই  হলো, এবং দোন্দার বে ও দোগান আল্প জখম হলেন , এবং বসতিতে আনার পর দোগান আল্পের মৃত্যু হলো, যার কবরস্থান  তুর্কিতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজ থেকে দোগান আল্পের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

লেখাঃ-  মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু 

Page:- Hamidul Islam Raju

আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী 

ওরহান গাজীর জীবনীঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-  

উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ- 

সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-

তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-

শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের বাণী ও উপদেশঃ-

সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ বিন কায়কাউস এর ইতিহাসঃ-

আইগুল হাতুনের দুঃখ দুর্দশা কেবল বাবা মা'র জন্য 

দোগান আল্পের ইতিহাসঃ-

আয়া নিকোলার সঠিক

মালহুন হাতুনের প্রকৃত ইতিহাস 

তুরগুত আল্পের ইতিহাসঃ-

বামসী বেইরেক খান ইতিহাসঃ-

সেলজান হাতুনের ইতিহাস 

Post a Comment

0 Comments