বামসী বেইরেকের প্রকৃত ইতিহাস | Bamsi Beyrek Biography |

পরিচয় পর্ব- বামসী বেইরেক ( Bamsı Beyrək )  ইংরেজি স্পেলিং Bamsi Beyrek ,   জাতীয়তাঃ ওগুজ তুর্কি   ডাক নামঃ- বামসী বে ( Bamsi Bey)।   সম্পূর্ণ নামঃ- বামসী বেইরেক খান ও বামসী বেইরেক বে ।   বামসি বে'র চরিত্রটি তুর্কির  ঐতিহাসিক বই অর্থাৎ "বুক ওফ ডেডে কুরকুত" (Book of Dede Korkut) থেকে নেওয়া হয়েছে। বামসী বে'র ছেলে মেয়ে সম্পর্কে তুর্কির ইতিহাসে মতভেদ রয়েছে।  বামসীর বাবার নামঃ-  বে বো'র খান( Bay Büre Khan) (বামসীর মা  ও বোনের তথ্য গুলো অজানা)  শুশুরের নামঃ বে বিচেন খান এবং উরুজ কোজা খান (Bay Bichen Khan Uruz Koja Khan)  বুক ওফ ডেডে কুরকুত" (Book of Dede Korkut) উল্লেখ রয়েছেঃ  বামসি বেয়রেক ছিলেন গল্পের প্রধান চরিত্র সালুর কাজানের সেরা বন্ধু। তিনি সমস্ত ওঘুজ সম্ভ্রান্তদের মধ্যে চারজন সুদর্শন পুরুষদের মধ্যে একজন ছিলেন। কিন্তু বেশ আবেগপ্রবণ ছিলেন এবং তিনি মাঝে মাঝে অযৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।  এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে ছিলো অসীম সাহসী ভূমিকা।  তার ঘোড়ার নাম ছিল ডেঙ্গিবোজ (বেঙ্গিবোজ) এবং এটি ছিল ধূসর বর্ণের।  জিও ফ্রে লুইছ থেকে অনুবাদ করা হয়েছে   বামসীবে কে কেন্দ্র করে একটা পৌরাণিক কাহিনীঃ যেভাবে তার নামকরণ করা হয়েছে।  একবার ওঘুজ রাজকুমাররা সবাই কোথাও জড়ো হয়েছিল। বামসীর বাবা বে বো'র খান দেখলেন যে , তার পুত্র ছাড়া প্রত্যেকের একটি করে পুত্র আছে, তখন তিনি বিষণ্ণতা অনুভব করে কাঁদতে লাগলেন, রাজকুমাররা তার শরণাপন্ন হয়ে বললেল, আপনি কাদঁছেন কেনো? এর প্রতিত্তোরে বামসীর বাবা বে বো'র খান বললেন, আমাদের পরিবারকে বহন করার মতো একটি পুত্র সন্তান নেই। তখন উপস্থিত রাজকুমাররা প্রার্থনা করে বললো, খুব শীঘ্রই আপনি একজন পুত্র সন্তানের বাবা হবেন। সেইসময় রাজকুমার  বে  (Bey Bichen) শান্তনাসুরে বলেছিলেন, "যদি আমি একটা কন্যা সন্তান পাই তাহলে আপনার পুত্রের সঙ্গে বিবাহ দিবো। পরবর্তীতে তাদের মনের আশা পূরণ হলো, এবং প্রত্যেকের পছন্দের সন্তান জন্ম হলো।   বামসীবে'র সাহসীকতায় যেভাবে বাবা মুগ্ধ হলেনঃ-   বে বোর খান তার বণিকদের কন্সান্টিনোপল প্রেরণ করলেন, এবং তারা কিছু জিনিস ক্রয় করলেন, পথি মধ্যে কয়েকজন কাফের তাদের আক্রমণ করলো, একজন যুবক কাফেরদের সঙ্গে তীব্র লড়াই করে সব কয়টিকে হত্যা করে ফেললো।   তারা জানতো না যে , যুবকটি ছিলো তাদের মহান খানের পুত্র। বণিকেরা যখন বে বো'র খানের কাছে গেলো এবং সব ঘটনা খুলে বললো, কাফেরদের শিরচ্ছেদ যে যুবকটি করেছিলো সে আর কেউ নেই, সে আমারোই পালোয়ান আর সাহসী ছেলে, এবং প্রত্যেকেই যুবকটির সাহসীকতা আর বীরত্বে পঞ্চমুখ। বণিকেরা নিজেদের অবস্থান থেকে বে'বোর খানের পুত্রকে সাধুবাদ জানালো। তৎক্ষণাৎ ওঘুজ রাজকুমাররা এক সমাবেশে সবার সামনে তার নামকরণ করেন, বামসী বেইরেক খান।   1111111111111111111111111  বামসী বে'র প্রথম বিবাহ যেভাবে হলোঃ   নাম পাওয়ার পর বামসী বে বিচেন খানের মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলেন, তার নাম ছিলো বানু চিচেক।  বলে রাখা ভালো, রাজকুমার বে বিচেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন, যদি তার কন্যা সন্তান হয় তাহলে বে বো'র এর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিবেন, সেই কথা অনুযায়ী বামসী বেইরেকের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হলো, এবং বিয়ের কিছু দিন পূর্বে তিনি বানু চিচেকের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলেন, বামসি'বে বানু চিচেকের সঙ্গে থাকা সেবিকাকে একটা হরিণ দান করলেন, তারপর তারা নিজেরা একত্রে কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলো, এবং একে অপরের সম্পর্কে যথেষ্ট জানতে পেরেছিল। সেই সময় বামসি বেরেক তার বাগদানের চিহ্ন হিসাবে তাকে একটি সোনার আংটিও দিয়েছিলেন। বামসি বেরেক যখন তার বাবার তাঁবুতে ফিরে এলেন, তিনি তাঁর ইচ্ছা সম্পর্কে বলেন। এবং প্রচুর প্রতিরোধ অতিক্রম করার পরে (তিনি ১৬ বছরের জন্য রাজা শকলির অধীনে বন্দীদশা কাটিয়েছিলেন), বামসি'বে বানু চিচেকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।   বামসি যেভাবে শহীদ হলেন?  তুর্কির জনপ্রিয় লিজেন্ড একাদশ মহাকাব্যে বামসী বে'র মৃত্যুর মুহুর্ত গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, যা বাইরের অঘুজ এবং ভেতরের অঘুজের মধ্যে একটি গৃহযুদ্ধের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধণ করেছিলো। প্রতি তিন বছরে একবার কাজান খান ওঘুজ রাজপরিবারের উভয় শাখাকে তার তাঁবুতে আমন্ত্রণ করতেন এবং তাদের ইচ্ছানুযায়ী সবকিছু প্রদান করতেন। প্রতিবছর, তিনি দূরবর্তী ওঘুজ আসার আগে নিকটের ওঘুজকে তার তাঁবুতে আমন্ত্রণ দেন। দূরবর্তী ওঘুজ রাজকুমাররা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং তারা প্রিন্স কাজানের প্রতি শত্রুতা প্রকাশ করেছিলেন। বামসি বেরেক ছিলেন নিকটের ওঘুজ এবং তার স্ত্রী ছিলেন দূরবর্তী ওঘুজ ।  উরুজ কোজা  তার জামাতা বামসি বেয়রেক কে তার আনুগত্য পরীক্ষা করার প্রচেষ্টায় বিদ্রোহীদের সাথে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানায়। বামসী বে কাজানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অস্বীকার করে এবং সেজন্য  উরুজ কোজা তাকে হত্যা করে। বামসি বে'র মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে  নিকটবর্তী ওগুজ কাজান খান দুরবর্তী ওঘুজের কাছে আসে। পরবর্তীতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় এবং কাজান বামসীবে'র শশুর উরুজ কোজাকে হত্যা করে। শত্রু পক্ষের অঘুজ রাজকুমাররা কাজানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা চাইলে তিনি সবাইকে ক্ষমা করে দেন এবং উরুজ কোজার বাড়ি এবং জমি লুট করা হয়। পরবর্তী যুদ্ধে কাজান উরুজ কোজাকে হত্যা করে। বাইরের ওঘুজ রাজন্যরা কাজানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা চাইলে তিনি সবাইকে ক্ষমা করে দেন এবং উরুজ কোজার বাড়ি এবং জমি লুট করা হয়।  1111111111111111  বিঃ দ্রঃ বামসী বেইরেকের জীবনী নিয়ে তুর্কির ইতিহাসে দুইভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে , উক্ত তথ্য গুলো ইংরেজি উইকিপিডিয়া এবং অনলাইন ভিত্তিক ইংরেজী ওয়েবসাইট গুলোর সাহায্য নেওয়া হয়েছে  বামসী বেইরেকের পার্ট -২ নিয়ে কিছু তথ্য গুলো তৈরী করবো। আমার পেইজে ফলো করে সঙ্গে থাকবেন   মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  তুরগুত আল্পের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বীরত্ব
বামসী বে 

 পরিচয় পর্ব- বামসী বেইরেক ( Bamsı Beyrək )  ইংরেজি স্পেলিং Bamsi Beyrek , 

জাতীয়তাঃ ওগুজ তুর্কি 

ডাক নামঃ- বামসী বে ( Bamsi Bey)। 

সম্পূর্ণ নামঃ- বামসী বেইরেক খান ও বামসী বেইরেক বে ।

 বামসি বে'র চরিত্রটি তুর্কির  ঐতিহাসিক বই অর্থাৎ "বুক ওফ ডেডে কুরকুত" (Book of Dede Korkut) থেকে নেওয়া হয়েছে। বামসী বে'র ছেলে মেয়ে সম্পর্কে তুর্কির ইতিহাসে মতভেদ রয়েছে।

বামসীর বাবার নামঃ-  বে বো'র খান( Bay Büre Khan) (বামসীর মা  ও বোনের তথ্য গুলো অজানা)

শুশুরের নামঃ বে বিচেন খান এবং উরুজ কোজা খান (Bay Bichen Khan Uruz Koja Khan)

বুক ওফ ডেডে কুরকুত" (Book of Dede Korkut) উল্লেখ রয়েছেঃ

বামসি বেয়রেক ছিলেন গল্পের প্রধান চরিত্র সালুর কাজানের সেরা বন্ধু। তিনি সমস্ত ওঘুজ সম্ভ্রান্তদের মধ্যে চারজন সুদর্শন পুরুষদের মধ্যে একজন ছিলেন। কিন্তু বেশ আবেগপ্রবণ ছিলেন এবং তিনি মাঝে মাঝে অযৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।  এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে ছিলো অসীম সাহসী ভূমিকা।  তার ঘোড়ার নাম ছিল ডেঙ্গিবোজ (বেঙ্গিবোজ) এবং এটি ছিল ধূসর বর্ণের।

জিও ফ্রে লুইছ থেকে অনুবাদ করা হয়েছে 

বামসীবে কে কেন্দ্র করে একটা পৌরাণিক কাহিনীঃ যেভাবে তার নামকরণ করা হয়েছে।

একবার ওঘুজ রাজকুমাররা সবাই কোথাও জড়ো হয়েছিল। বামসীর বাবা বে বো'র খান দেখলেন যে , তার পুত্র ছাড়া প্রত্যেকের একটি করে পুত্র আছে, তখন তিনি বিষণ্ণতা অনুভব করে কাঁদতে লাগলেন, রাজকুমাররা তার শরণাপন্ন হয়ে বললেল, আপনি কাদঁছেন কেনো? এর প্রতিত্তোরে বামসীর বাবা বে বো'র খান বললেন, আমাদের পরিবারকে বহন করার মতো একটি পুত্র সন্তান নেই। তখন উপস্থিত রাজকুমাররা প্রার্থনা করে বললো, খুব শীঘ্রই আপনি একজন পুত্র সন্তানের বাবা হবেন। সেইসময় রাজকুমার  বে  (Bey Bichen) শান্তনাসুরে বলেছিলেন, "যদি আমি একটা কন্যা সন্তান পাই তাহলে আপনার পুত্রের সঙ্গে বিবাহ দিবো। পরবর্তীতে তাদের মনের আশা পূরণ হলো, এবং প্রত্যেকের পছন্দের সন্তান জন্ম হলো। 

বামসীবে'র সাহসীকতায় যেভাবে বাবা মুগ্ধ হলেনঃ- 

বে বোর খান তার বণিকদের কন্সান্টিনোপল প্রেরণ করলেন, এবং তারা কিছু জিনিস ক্রয় করলেন, পথি মধ্যে কয়েকজন কাফের তাদের আক্রমণ করলো, একজন যুবক কাফেরদের সঙ্গে তীব্র লড়াই করে সব কয়টিকে হত্যা করে ফেললো। 

তারা জানতো না যে , যুবকটি ছিলো তাদের মহান খানের পুত্র। বণিকেরা যখন বে বো'র খানের কাছে গেলো এবং সব ঘটনা খুলে বললো, কাফেরদের শিরচ্ছেদ যে যুবকটি করেছিলো সে আর কেউ নেই, সে আমারোই পালোয়ান আর সাহসী ছেলে, এবং প্রত্যেকেই যুবকটির সাহসীকতা আর বীরত্বে পঞ্চমুখ। বণিকেরা নিজেদের অবস্থান থেকে বে'বোর খানের পুত্রকে সাধুবাদ জানালো। তৎক্ষণাৎ ওঘুজ রাজকুমাররা এক সমাবেশে সবার সামনে তার নামকরণ করেন, বামসী বেইরেক খান। 

বামসী বে'র প্রথম বিবাহ যেভাবে হলোঃ 

নাম পাওয়ার পর বামসী বে বিচেন খানের মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলেন, তার নাম ছিলো বানু চিচেক।

বলে রাখা ভালো, রাজকুমার বে বিচেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন, যদি তার কন্যা সন্তান হয় তাহলে বে বো'র এর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিবেন, সেই কথা অনুযায়ী বামসী বেইরেকের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হলো, এবং বিয়ের কিছু দিন পূর্বে তিনি বানু চিচেকের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলেন, বামসি'বে বানু চিচেকের সঙ্গে থাকা সেবিকাকে একটা হরিণ দান করলেন, তারপর তারা নিজেরা একত্রে কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলো, এবং একে অপরের সম্পর্কে যথেষ্ট জানতে পেরেছিল। সেই সময় বামসি বেরেক তার বাগদানের চিহ্ন হিসাবে তাকে একটি সোনার আংটিও দিয়েছিলেন। বামসি বেরেক যখন তার বাবার তাঁবুতে ফিরে এলেন, তিনি তাঁর ইচ্ছা সম্পর্কে বলেন। এবং প্রচুর প্রতিরোধ অতিক্রম করার পরে (তিনি ১৬ বছরের জন্য রাজা শকলির অধীনে বন্দীদশা কাটিয়েছিলেন), বামসি'বে বানু চিচেকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। 

বামসি যেভাবে শহীদ হলেন?

তুর্কির জনপ্রিয় লিজেন্ড একাদশ মহাকাব্যে বামসী বে'র মৃত্যুর মুহুর্ত গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, যা বাইরের অঘুজ এবং ভেতরের অঘুজের মধ্যে একটি গৃহযুদ্ধের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধণ করেছিলো। প্রতি তিন বছরে একবার কাজান খান ওঘুজ রাজপরিবারের উভয় শাখাকে তার তাঁবুতে আমন্ত্রণ করতেন এবং তাদের ইচ্ছানুযায়ী সবকিছু প্রদান করতেন। প্রতিবছর, তিনি দূরবর্তী ওঘুজ আসার আগে নিকটের ওঘুজকে তার তাঁবুতে আমন্ত্রণ দেন। দূরবর্তী ওঘুজ রাজকুমাররা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং তারা প্রিন্স কাজানের প্রতি শত্রুতা প্রকাশ করেছিলেন। বামসি বেরেক ছিলেন নিকটের ওঘুজ এবং তার স্ত্রী ছিলেন দূরবর্তী ওঘুজ ।

উরুজ কোজা  তার জামাতা বামসি বেয়রেক কে তার আনুগত্য পরীক্ষা করার প্রচেষ্টায় বিদ্রোহীদের সাথে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানায়। বামসী বে কাজানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অস্বীকার করে এবং সেজন্য  উরুজ কোজা তাকে হত্যা করে। বামসি বে'র মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে  নিকটবর্তী ওগুজ কাজান খান দুরবর্তী ওঘুজের কাছে আসে। পরবর্তীতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় এবং কাজান বামসীবে'র শশুর উরুজ কোজাকে হত্যা করে। শত্রু পক্ষের অঘুজ রাজকুমাররা কাজানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা চাইলে তিনি সবাইকে ক্ষমা করে দেন এবং উরুজ কোজার বাড়ি এবং জমি লুট করা হয়। পরবর্তী যুদ্ধে কাজান উরুজ কোজাকে হত্যা করে। বাইরের ওঘুজ রাজন্যরা কাজানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা চাইলে তিনি সবাইকে ক্ষমা করে দেন এবং উরুজ কোজার বাড়ি এবং জমি লুট করা হয়।

বিঃ দ্রঃ বামসী বেইরেকের জীবনী নিয়ে তুর্কির ইতিহাসে দুইভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে , উক্ত তথ্য গুলো ইংরেজি উইকিপিডিয়া এবং অনলাইন ভিত্তিক ইংরেজী ওয়েবসাইট গুলোর সাহায্য নেওয়া হয়েছে

বামসী বেইরেকের পার্ট -২ নিয়ে কিছু তথ্য গুলো তৈরী করবো। আমার পেইজে ফলো করে সঙ্গে থাকবেন 

লেখাঃ-  মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু 

Page:- Hamidul Islam Raju

আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী 

ওরহান গাজীর জীবনীঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-  

উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ- 

সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-

তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-

শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের বাণী ও উপদেশঃ-

সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ বিন কায়কাউস এর ইতিহাসঃ-

আইগুল হাতুনের দুঃখ দুর্দশা কেবল বাবা মা'র জন্য 

দোগান আল্পের ইতিহাসঃ-

আয়া নিকোলার সঠিক

মালহুন হাতুনের প্রকৃত ইতিহাস 

তুরগুত আল্পের ইতিহাসঃ-

বামসী বেইরেক খান ইতিহাসঃ-

সেলজান হাতুনের ইতিহাস 

Post a Comment

2 Comments

  1. ভুল তথ্য কোথায় জানালে উপকৃত হবো,না বুঝে মন্তব্য করা ঠিক নয়

    ReplyDelete
  2. যথেষ্ট ভুল তথ্য বিদ্যমান।বামসি নয়,দোগান বিয়ে করেছিলো বানু চিচিগকে।

    ReplyDelete