জনপ্রিয় দশটি ইসলামিক টিবি সিরিজ | Islamic Series |

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
জনপ্রিয় দশটি ইসলামিক সিরিজ

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।

যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।

আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।

দশটি ইসলামিক টিভি সিরিজ| তুর্কিশ ইসলামিক সিরিজ | দশটি ইসলামিক সিরিজ | ইসলামিক ঐতিহাসিক সিরিজ।

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-
 ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ। 
সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
কুরুলুস উসমান সিরিজ
   ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
পায়িতাহত আব্দুল হামিদ সিরিজ

৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে সিরিজ

৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
ক্রুসেড সিরিজ

৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
ইউসুফ জুলেখা সিরিয়াল

৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।

সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।

আরো পড়ুনঃ- ছবিসহ মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমির প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ৮০ টি উক্তি ও উপদেশ মূলক বাণী 

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
আসহাবে কাহাফ সিরিজ

৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।  
সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।
তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine। 

আসহাবে কাহাফের গুহা

তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।

কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।

তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
উমর সিরিজ

৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
মহান সেলজুক সিরিজ

৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।

সূচনাঃ- আজ তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন।  4G গতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখন হাতের মুঠোই । ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে শত শত মুভি, সিরিজ কিংবা নাটক। নারীরা ঝুকে পড়ছে, স্টার জলসা, জি বাংলা ও সনি আট ইত্যাদি ইত্যাদি চ্যানেল গুলোতে ।  যেখানে দেখানো হচ্ছে, স্বামীদের সঙ্গে  উশৃঙ্খল কথা বার্তা, স্ত্রীরা  পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্যাচাল সৃষ্টি করা, নারীরা বেপর্দায় রাস্তায় যাতায়াত কিংবা অশালীল স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর। এই সব কিছু সিনেমা মুভি কিংবা সিরিজ ঘরে শান্তি বিনষ্ট করা ব্যতিত কোনো উপকারে আসছে না, আসবেও না।  আজ আমি ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজের কথা বলছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে।  যারা একটানা  পাচটি ভলিউম দেখেছে তারা তো সিরিজ গুলোর প্রেমে পড়েছে। এবং সিরিজটি শেষ না করা অবধি ধারাবাহিকভাবে  পর্ব গুলো দেখে আসছে। আমি সেই সব ঐতিহাসিক ইসলামিক সিরিজটির কথা বলছি।  সিরিজ টি আসলে কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমন কোনো কথা নয়, বরং মুসলিম ইতিহাস থেকে উক্ত সিরিজ গুলো নিখুঁত ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ উক্ত সিরিজ গুলো দেখে আসছে । অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন, আমি কোন সিরিজের কথা বলছি, তাহলে আসুন নিম্নে দশটি ইসলামীক ঐতিহাসিক সিরিজের প্রেক্ষাপট গুলো তুলে ধরা হচ্ছে।  দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজের যুদ্ধের দৃশ্যঃ-   ১) দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজঃ ( Dirilis Ertugrul)   আর্তুগ্রুল গাজীর বীরত্ব ও যুদ্ধের কৌশল ও  মোঙ্গল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের সেন্যদের সঙ্গে আর্তুগ্রুল গাজীর ব্যাপক যুদ্বের দৃশ্য গুলো উক্ত সিরিজে প্রতিয়মান করা হয়েছে। কায়ী গোষ্ঠির প্রধান সুলাইমান শাহের ছেলের নাম আর্তুগ্রুল গাজী । সুলাইমান শাহ ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির নেতা।  তিনি কায়ী বসতিকে নেতৃত্ব দিতেন এবং পাশাপাশি ক্রুসেড, নাইট বাহিনী এবং মোঙ্গলবাহিনীর সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতেন। সুলাইমান শাহের মৃত্যুর পর আর্তুগ্রুল গাজী কায়ী  গোষ্ঠির প্রধান হন। তিনিও বাবার আদর্শকে লালন করে সঠিক পথ অবলম্বন করে নিজ গুষ্টিকে নেতৃত্ব দেন।  এবং কাফেররা যখন মুসলামদের কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকলো, তখনই বীর পুরুষের মতো ছুটে আসতো, আর্তুগ্রুল গাজী ও তার সৈন্যরা এবং ব্যাপক যুদ্ব হতো, এবং অধিকাংশ যুদ্ব গুলোতে তিনি জয় লাভ করতেন। ধীরে ধীরে কাফেরদের দূর্গ জয় করে সেখানে মুসলমানদের পতাকা সমুন্নত রাখতেন। উক্ত সিরিজটি এভাবে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।  ইগিন আলতান দোজায়তান(Engin Altan Düzyatan) আর্তুগ্রুল গাজীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এসরা বিলগিক ( Esra Bilgiç)  সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী হালিমা সুলতানার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাকে আর্তুগ্রুল গাজী বিয়ে করেছেন। আরতুগ্রুল সিরিজের সিজন সংখ্যা ৫ । পর্ব সংখ্যা ১৫০ । প্রতি ভলিউমে  ১৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ীত্বকাল এবং পরিচালক মেহমেত বুজদাগ।       ২) কুরুলুস উসমান সিরিজঃ( kurulus Osman Series)   উসমান যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, উসমানের বীরত্ব এবং সাহসীকতার চিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।  শুরুটা যেমন হয়েছেঃ- আর্তুগ্রুল গাজী অসুস্থ হয়ে কেনিয়া চলে গেলেন। এবং কায়ী বসতির প্রধানের দায়িত্ব দিলেন ভাই দোন্দার বে কে। তিনি কয়েকটি বছর যেতে না যেতে মোঙ্গল সঙ্গে হাত মিলালেন এবং বসতির ক্ষতি করে বসলেন।  চাচার এইসব কর্মকান্ড দেখে চাচার প্রতি ক্ষুব্ধ হলেন এবং চাচাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করলেন। উসমান  এভাবে ধীরে ধীরে বসতীর বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করলেন। উসমান বে ভাবলেন, আমরা একটা গোষ্টিকে নেতৃত্ব দিলে চলবে না , বরং সারা পৃথিবীতে আমাদের ঝান্ডা উঁচু রাখতে হবে। সেইজন্যে তিনি সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন একটা রাষ্ট্র গঠন করার। সকলের মতামত প্রদর্শন করার পর সেই রাষ্ট্রের নাম হলো " উসামানীয়া সাম্রাজ্য " অত্যন্ত দারুন সিরিজ সবাই দেখার অনুরোধ করছি। এই সিরিজের জনপ্রিয় পরিচালক মেহমেত বুজদাগ যার পরিচালনায় দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজও নির্মিত।কুরুলুস উসমান সিজন-২ এর ৬৪ পর্ব শেষ হয়েছে।  সিজন ৩ থেকে পরবর্তীতে শুরু হবে।   ৩) পায়িতাহত আব্দুল হামিদ (Payithat abdul hamid):    পায়িতাহত আব্দুল হামিদ তুরষ্কের তৈরি একটি ইতিহাস নির্ভর টিভি সিরিজ।এই সিরিজে সুলতান আব্দুল হামিদের রাজত্বে শেষ ১৩ বছরের ইতিহাস দেখানো হয়েছে। এখানে অটোমানদের যুদ্ধ জয়ের বিরত্ত গাথা আব্দুল হামিদের দৃঢ় রাষ্ট্র শাসন এবং গ্রীক যুদ্ধের কাহীনি কে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই টিভি সিরিজটি রচিয়তা উসমান বাহাদুর এবং উগোরউজনক। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সরদার আকর এমরে কনেক দোগান কারাচা এবং সেফকিচ। ৫ সৃজনের এই সিরিজটি মোট পর্ব সংখ্যা ১৫৪ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৫০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৫.৩ ।  ৪) মেহেমেটেচিক কুতুল আমারে (Mehmetçik Kut'ül-Amare): মেহেমেটেচিক কুতুল আমরে তুরষ্কের তৈরি একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ। মেহেমেদ এবং তার বন্ধুর কাহিনী নিয়ে মূলতো এই টিভি সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে। যারা অটোমোন সম্রাজ্যে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। যাদের স্বপ্ন ছিল নিজে দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করা। এবং তাদের হৃদয় জুড়ে ছিল দেশ প্রেম এবং জাতীয়তা বাদ। মেহেমেদ দেশের জন্য যে কোনো কিছু উৎসর্গ করতে সর্বোদা প্রস্তুত ছিল। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটার রচিয়তা মেহমেদ বোজদাগ এবং,পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সাভকি দোগান এবং,কামিল আয়দিন দুই সিজনের এই সৃজটির পর্ব সংখ্যা ৩৩ টি,এবং প্রতিটি পর্বের দৈঘ্য ১৮০ মিনিট। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজটির রেটিং ৬.৮ ।  ৫) ক্রুসেড বা মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন: ( Crused salaUdidin Aiyubi) মহাবীর গাজী সালাহউদ্দিন আয়ুবী এবং ক্রুসেড যুূদ্ধের পটভূমির উপর নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। এটি তৈরি করেছে মূলত সিরিয়া। এর মুল ভাষা আরবি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সিরিয়ার বিখ্যাত পরিচালক হাতেম আলী। ২০১৭ সালে সিরিজটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে বাংলাদেশের এসএটিভি তে সম্প্রচারিত হয়েছিলো।  আমাদের পেইজে সম্পূর্ণ লিঙ্ক আছে দেখার অনুরোধ করা হলো।  ৬.ইউসুফ জুলেখা:(Yousuf Julekha) ইরানের নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ এটি। হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এই সিরিজটি। কুরআন ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই সিরিজের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজে ফুটে উঠেছে সেই প্রাচীন যুগের কেনান ও মিশরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সিরিজটির মুল ভাষা ফার্সি ; তবে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এটির ডাবিং হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এসএ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ইউসুফ জুলেখা নামে এটির সম্প্রচার শুরু করেছিলো। সিরিজটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত সমাপ্ত ।  সিরিজটির সংক্ষেপিত দৃশ্যপটঃ- ইউসুফ (আঃ) এর শৈশবকালীন কিছু মো'জেজা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বপ্ন যুগে  যা দেখলেন বাবাকে বললেন, বাবা ইয়াকুব ( আঃ) কাউকে না বলার জন্য বারণ করলেন।  ভাইয়েরা বিরুদ্বাচরণ করে কুফে নিক্ষেপ করে দিলো ইউসুফ (আঃ)কে । অজানা অচেনা একদল কাফেলা উনাকে কুফের মধ্যে দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে মিশরের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিপুল মুদ্রায় ক্রয় করে দিলেন।  এভাবে বড়ো হন ।একদিন তিনি মিশরের অর্থমন্ত্রী হন। এবং ভাইদের ষড়যন্ত্র সবার সামনে উম্মোচিত করেন। তিনি খোয়াবের ( স্বপ্নের) ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতেন। মিশরের বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখা বলে দেওয়ার পর দুর্ভিক্ষ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করেছেন।   ৭.আসহাবে কাহাফ ( Ashab-e Kahaf: ইরানের নির্মিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামিক সিরিজ আসহাবে কাহাফ। কুরআন ও ইসলামিক বর্ণানা অনুসারে  আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিজে। এর মুল ভাষা ফার্সি। জনপ্রিয় সিরিজের পরিচালক ফারাজুল্লাহ সালাহসুর। সর্বপ্রথম IRIB TB1 চ্যানেলটিতে প্রচার করা হয়েছে। 1997 সালে রিলিজ হয়েছিলো। বাংলাদেশ এর এস এ টিভিতে বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রচার শুরু করেছিলো।    সিরিজের সংক্ষেপিত প্রেক্ষাপটঃ- ঈসা ( আঃ) এর  পরবর্তী সময়ের কথা। তখনকার রাজা বাদশাহরা হরেক রকমের পূজায় মশগুল থাকতো। এক আল্লাহর উপসনা করতো এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যেতো। তখনকার সময়ে সাতজন যুবক আল্লাহর উপাসনা করার জন্য প্রকাশ্যে দাওয়াত দিতে শুরু করলে  বাদশাহ ক্ষেপে উঠলেন এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য সৈন্যবাহীনি লেলিয়ে দিলেন। তারা পালিয়ে একটা গুহায় আশ্রয় নেয়। তারা সাতজন যুবক ও  সঙ্গে একটি কুকুরও ছিলো ।  তাদের নামগুলো ছিল Maximian, Malchus, Marcian, John, Denis, Serapion ও Constantine। ভিন্ন উচ্চারণ ও বানানে তাদের নামগুলো Maximilian, Jamblichus, Martin, John, Dionysius, Antonius এবং Constantine।   তারা গুহায় একদিন অবস্থান করলো অতঃপর ঘুমিয়ে গেলো।  এক রাতেই ৩০০ ( কেউ কেউ বলেছেন ৩০৯) বছর পার হয়ে গেলো ।  কুরআনের ভাষ্যতেই বাকী কাহিনী শুনে নেয়া যাক।  তুমি কি ধারণা করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল? যখন যুবকেরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।” তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরুত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের অবস্থানকাল সম্পর্কে অধিক নির্ণয় করতে পারে। আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের মন দৃঢ় করেছিলাম, যখন তারা উঠে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর তারা বলল: “আমাদের পালনকর্তা আসমান ও যমীনের পালনকর্তা, আমরা কখনও তার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাস্যকে আহবান করব না। যদি করি, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে। এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক পাপী আর কে?” তোমরা যখন তাদের থেকে পৃথক হলে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করে তাদের থেকে, তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসু করার ব্যবস্থা করবেন। তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম… তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তে। আমি এমনিভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল: “তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ?” তাদের কেউ বলল: “একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করছি।” কেউ কেউ বলল: “তোমাদের পালনকর্তাই ভালো জানেন তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রাসহ শহরে প্রেরণ কর; সে যেন দেখে কোন খাদ্য পবিত্র। অতঃপর তা থেকে যেন কিছু খাদ্য নিয়ে আসে তোমাদের জন্য; সে যেন নম্রতা সহকারে যায় ও কিছুতেই যেন তোমাদের খবর কাউকে না জানায়। তারা যদি তোমাদের খবর জানতে পারে, তবে পাথর মেরে তোমাদেরকে হত্যা করবে, অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নেবে। তাহলে তোমরা কখনই সাফল্য লাভ করবে না।” এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজেদের কর্তব্য বিষয়ে পরস্পর বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল: “তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।” তাদের পালনকর্তা তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হল, তারা বলল: “আমরা অবশ্যই তাদের স্থানে উপাসনালয় নির্মাণ করব।” অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে এখন তারা বলবে: তারা ছিল তিন জন, তাদের চতুর্থটি তাদের কুকুর। একথাও বলবে, তারা পাঁচ জন। তাদের ছষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর। আরও বলবে, তারা ছিল সাত জন। তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন: আমার পালনকর্তা তাদের সংখ্যা ভালো জানেন। তাদের খবর অল্প লোকই জানে। সাধারণ আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের সম্পর্কে বিতর্ক করবে না এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করবে না… তাদের উপর তাদের গুহায় তিনশ বছর, অতিরিক্ত আরও নয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। বল: তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভালো জানেন। নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে।” [আল কুরআন ১৮:৯-২৬]   ৮) উমর (Umor):- ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ)  এর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিরিজ উমর। এই সিরিজটি তৈরি করেছে আরব বিশ্ব। এটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত সিরিয়ান পরিচালক হাতেম আলী। সিরিজের মূল ভাষা আরবি। এই সিরিজটি সর্বমোট ৩১ পর্বের। সিরিজে ইসলামের রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার পরিবারকে দেখানো হয়নি বা তাদের কন্ঠও শুনানো হয়নি। ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো এই সিরিজটি তবুও মুসলিম বিশ্বে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।  ৯) দ্যা গ্রেট সেলজুক গার্ডিয়ানস অব জাস্টিস (The Great Seljuks: Guardians of Justice) : জনপ্রিয় সব ইসলামিক টিভি সিরিজের মধ্য হতে ২০২১ সালে সবার শীর্ষে রয়েছে দ্যা গ্রেট সেলজুক, গার্ডিয়ানসস অব জাস্টিস। তুরষ্কের তৈরি এই টিভি সিরিজটিতে সেলজুক বংশে বীরত্ব এবং শাসন ব্যাবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই টিভি সিরিজে সেলজুক সুলতান মালিক শাহ এবং তার পুত্র আহম্মেদ সানজারের বীরত্বের কথা চিত্রিত হয়েছে। এবং এখানে দেখানো হয়েছে সেলজুকদের উত্থান,সম্রাজ্য বিস্তার,যুদ্ধ,শাসন ব্যবস্থা এবং তাদের রাজত্ব। তুর্কি ভাষায় রচিত এই টিভি সিরিজের পরিচালক সিদাত ইনচি এবং লেখক সরদার ওজোনালান মাত্র ১ সৃজনায় এই টিভি সিরিজটির পর্বের সংখ্যা ৩৪ টি। প্রতিটি পর্বের স্থায়িত্ব ১৫০ মিনিট। জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ভাষায় ডাবিং করে প্রদর্শিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইএমডিবি হিসেবে এই টিভি সিরিজের রেটিং ৮.৪ ।  ১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :-   ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো। জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।  শেষ কথাঃ-   উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন।    মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
বারবারোসা সিরিজ

১০) বারবারোস ভূমধ্যসাগরের তরবারীঃ (Barbaros: Sword of the Meditarranean) :- 

ঐতিহাসিক ইসলামিক তুর্কিশ সিরিজ  ভূমধ্যসাগরের তরবারী হাইরেদ্দিন বারবারোসা কে কেন্দ্র করে উক্ত সিরিজটি নির্মান করা হয়েছে। সিরিজটির প্রথম ইপিসোড পাবলিশ করা হয়েছিল TRT1 ইউটিউব চ্যানেলে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ । পরিচালক চুনেট আয়শান (Cüneyt Aysan)। চলমান সিরাজটি কতো পর্ব পর্যন্ত রিলিজ হবে এখনও বোধগম্যের বাইরে। প্রচুর দর্শকদের উদ্দীপনা এবং মনোযোগ দিয়ে দেখছেন উক্ত ঐতিহাসিক সিরিজটি।হাইরেদ্দীন কে ছিলেন? হাইরেদ্দীন বারবারোসাও প্রথম জীবনে এরকম একটি ভাড়াটে সৈনিক দলের নেতা ছিলেন, যিনি ইউরোপীয়দের কাছে তার সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং অভিজ্ঞ জলদস্যু হিসেবে পরিচিতি পান। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ জুড়ে ভূমধ্যসাগরের বুক চিরে নিজের রণতরী ছুটিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য শত্রু জাহাজে আক্রমণ করেছেন, সেই সঙ্গে অনেকগুলো নৌ-বন্দর তার প্রভাব বলয়ের আওতায় এসে গিয়েছিলো।

 জাহাজে আক্রমণ এবং বন্দর থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বারবারোসার হস্তগত হয়ে পড়ে। বারবারোসা ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা, যিনি আরও বড় কিছু হওয়ার জন্যই জন্মেছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাকে সেদিকেই ধাবিত করেছিলো। নিজের যোগ্যতা গুণে একসময়  অটোমানদের মিত্রতে পরিণত হন তিনি। ফলে তার ক্ষমতাও রাতারাতি আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের হয়ে বারবারোসা অসংখ্য নৌ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। বিশেষ করে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাজতন্ত্র, স্পেনীয় সম্রাট পঞ্চম চার্লসের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।

শেষ কথাঃ- 

উপরোক্ত ঐতিহাসিক দশটি সিরিজের নামসহ প্রেক্ষাপট বর্ণন করা হয়েছে। মানুষ অশ্লীল সিনেমার দিকে ঝুকে পড়েছে , সেজন্য অশ্লীল সিনেমা দেখে টাইম পাস করার চাইতে এই সিরিজ গুলো দেখে সময় নষ্ট করুন। ভালো না হলেও মন্দ হবে না । কিংবা এক বিন্দু পরিমান উপকারে না আসলেও কখনো ক্ষতি হবে না , ইন শা আল্লাহ, কিছু হলেও আপনার জীবনটা বদলে দিতে পারে উক্ত সিরিজ গুলো। আমার পেইজের লিঙ্ক আছে , ফলো করে সঙ্গে থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের ছোট্ট আয়োজন। 

আমার ফেসবুক আইডিটি ফলো করে সঙ্গে থাকুুন ।


আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী 

ওরহান গাজীর জীবনীঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-  

উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ- 

সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-

তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-

শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

Post a Comment

0 Comments