উসমানের স্ত্রী রাবিয়া বালা হাতুনের জীবন বৃত্তান্ত (১২৫৭-১৩২৪ )। Biography of Usman's wife Rabia Bala Hatun.

পরিচিতিঃ-  বালা হাতুন, যার সম্পূর্ন নাম ছিলো, 'রাবিয়া বালা হাতুন'। যিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা প্রথম উসমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর। তিনি উসমানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন কিনা এই ব্যাপারে ইতিহাসবিদদের ভিন্নমত রয়েছে। তিনি ১২৫৭ সালে তুর্কিতে জন্মগ্রহণ করেছেন।  তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি শেখ এদেবালীর কন্যা ছিলেন। এবং আলাদ্দীন পাশা'র মাতা ছিলেন। আমির উসমানের সন্তান ওরহান গাজী ছিলেন, পরবর্তী দ্বিতীয় সুলতান। কিন্তু ওরহান গাজীর প্রকৃত মা কে ছিলেন, তা নিয়ে অনেকের ভিন্নমত রয়েছে। ইতিহাসবিদরা মনে করেন মালহুন হাতুনই তার প্রকৃত মাতা ছিলেন, আবার কেউ কেউ বালা হাতুনকে প্রকৃত মা হিসেবে গণ্য করেছেন।   বালা হাতুনের বিবাহ বন্ধনঃ-   ১২৮৯ সালে উসমানের সঙ্গে শেখ এদেবালীর উপস্থিতে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় তিনি যে দেনমোহর পেয়েছিলেন সেটা সেখানকার সরকার তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণ করেছেন। পরবর্তিতে তাদের ওরসে আলায়েদ্দীন পাশা জন্ম গ্রহন করেছিলেন। ১৩২০ সালে ওসমান গাজী আলায়েদ্দীন পাশার নামকরণ করেছিলেন সর্বোচ্চ প্রশাসনিক অফিস, গ্র্যান্ড ভাইজার এর। তাছাড়া, তিনি উসমান গাজীর প্রথম ছেলে ছিলেন কিনা সেই ব্যাপারে মতনৈক্য রয়েছে যা হয়তো ওরহান গাজীকে প্রথম ছেলে হিসেবে ধারণা করা হয়। উসমান গাজীর মৃত্যুর পর ওরহান গাজী সিংহাসনে আরোহন করেন, এবং বালা হাতুনের ছেলে আলায়েদ্দীন পাশা ওরহান গাজীর একজন পরামর্শক হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করে থাকেন।    বিলেসিক জেলায় Kozağaç গ্রামে বালা হাতুনের বাবা শেখ এদেবালীর ধর্মীয়শালা ছিলো, তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের একজন প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা ছিলেন।   দাম্পত্য জীবনেঃ-   রাবিয়া বালা হাতুন জীবনের অধিকাংশ সময় উসমানের সঙ্গে অতিবাহিত করেছেন। উসমানকে তিনি যেমন ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছেন তিনি পর্যাপ্ত পরিমান সম্মান করতেন। যুদ্ধে যাওয়ার সময় উসমানকে বিজয়ীর বেশে ফিরে আশার জন্য উৎসাহিত করতেন। উসমান তাকে মনে প্রাণে ভালোবাসতেন এবং কায়ী গোষ্ঠির প্রধান হাতুনের/ সম্মানিত মহিলার দায়িত্ব দেওয়া হলো। তিনি সেটা পালনে সচেষ্ট ছিলেন, খুব অল্প সময়ে বসতির প্রতিটা মানুষের মন জয় করেছিলেন। শুধু তাই নয় , তিনি একজন সুন্দরী মহিলা ছিলেন, এবং শেখ এদেবালী একজন প্রসিদ্ধ দরবেশ ছিলেন সেজন্য মেয়ে রাবিয়া বালা হাতুন একজন ধার্মিক স্ত্রী ছিলেন। উসমানের সঙ্গে জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে সময় অতিবাহিত করেছেন।    মৃত্যুঃ-    রাবিয়া বালা হাতুন ১৩২৪ সালে মারা যান। তাকে তার বাবা শেখ এদেবালীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। যার সমাধিস্থল তুর্কির বিলেসিক জেলায় রয়েছে।  লিখেছেন, মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   উংসঃ ইংরেজী উইকিপিডিয়ার এন্ড অনলাইন ভিত্তিক থেকে সংগ্রহ ।  বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-
বালা হাতুন ও উসমানঃ কুরুলুস উসমান 

 রাবিয়া বালা হাতুন 

পরিচিতিঃ-

বালা হাতুন, যার সম্পূর্ন নাম ছিলো, 'রাবিয়া বালা হাতুন'। যিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা প্রথম উসমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর। তিনি উসমানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন কিনা এই ব্যাপারে ইতিহাসবিদদের ভিন্নমত রয়েছে। তিনি ১২৫৭ সালে তুর্কিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি শেখ এদেবালীর কন্যা ছিলেন। এবং আলাদ্দীন পাশা'র মাতা ছিলেন। আমির উসমানের সন্তান ওরহান গাজী ছিলেন, পরবর্তী দ্বিতীয় সুলতান। কিন্তু ওরহান গাজীর প্রকৃত মা কে ছিলেন, তা নিয়ে অনেকের ভিন্নমত রয়েছে। ইতিহাসবিদরা মনে করেন মালহুন হাতুনই তার প্রকৃত মাতা ছিলেন, আবার কেউ কেউ বালা হাতুনকে প্রকৃত মা হিসেবে গণ্য করেছেন।

 বালা হাতুনের বিবাহ বন্ধনঃ- 

১২৮৯ সালে উসমানের সঙ্গে শেখ এদেবালীর উপস্থিতে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় তিনি যে দেনমোহর পেয়েছিলেন সেটা সেখানকার সরকার তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণ করেছেন। পরবর্তিতে তাদের ওরসে আলায়েদ্দীন পাশা জন্ম গ্রহন করেছিলেন। ১৩২০ সালে ওসমান গাজী আলায়েদ্দীন পাশার নামকরণ করেছিলেন সর্বোচ্চ প্রশাসনিক অফিস, গ্র্যান্ড ভাইজার এর। তাছাড়া, তিনি উসমান গাজীর প্রথম ছেলে ছিলেন কিনা সেই ব্যাপারে মতনৈক্য রয়েছে যা হয়তো ওরহান গাজীকে প্রথম ছেলে হিসেবে ধারণা করা হয়। উসমান গাজীর মৃত্যুর পর ওরহান গাজী সিংহাসনে আরোহন করেন, এবং বালা হাতুনের ছেলে আলায়েদ্দীন পাশা ওরহান গাজীর একজন পরামর্শক হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করে থাকেন। 

 বিলেসিক জেলায় Kozağaç গ্রামে বালা হাতুনের বাবা শেখ এদেবালীর ধর্মীয়শালা ছিলো, তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের একজন প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা ছিলেন।

কুরুলুস উসমানের দৃশ্য 
 দাম্পত্য জীবনেঃ-


 রাবিয়া বালা হাতুন জীবনের অধিকাংশ সময় উসমানের সঙ্গে অতিবাহিত করেছেন। উসমানকে তিনি যেমন ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছেন তিনি পর্যাপ্ত পরিমান সম্মান করতেন। যুদ্ধে যাওয়ার সময় উসমানকে বিজয়ীর বেশে ফিরে আশার জন্য উৎসাহিত করতেন। উসমান তাকে মনে প্রাণে ভালোবাসতেন এবং কায়ী গোষ্ঠির প্রধান হাতুনের/ সম্মানিত মহিলার দায়িত্ব দেওয়া হলো। তিনি সেটা পালনে সচেষ্ট ছিলেন, খুব অল্প সময়ে বসতির প্রতিটা মানুষের মন জয় করেছিলেন। শুধু তাই নয় , তিনি একজন সুন্দরী মহিলা ছিলেন, এবং শেখ এদেবালী একজন প্রসিদ্ধ দরবেশ ছিলেন সেজন্য মেয়ে রাবিয়া বালা হাতুন একজন ধার্মিক স্ত্রী ছিলেন। উসমানের সঙ্গে জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে সময় অতিবাহিত করেছেন। 


 মৃত্যুঃ- 

 রাবিয়া বালা হাতুন ১৩২৪ সালে মারা যান। তাকে তার বাবা শেখ এদেবালীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। যার সমাধিস্থল তুর্কির বিলেসিক জেলায় রয়েছে।

লিখেছেন, মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু 

উংসঃ ইংরেজী উইকিপিডিয়ার এন্ড অনলাইন ভিত্তিক থেকে সংগ্রহ ।

বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী 

ওরহান গাজীর জীবনীঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ- 

স্বাগতম আপনাকে 
Page:- Md. Hamidul Islam

Post a Comment

0 Comments