মালহুন হাতুন কে ? মালহুন হাতুনের প্রকৃত ইতিহাস | Real History of Malhun Hatun |

ভূমিকাঃ আমরা কম বেশি মালহুন হাতুনের ইতিহাস সম্পর্কে জানি। উসমানীয়া সাম্রাজ্য প্রসারিত হওয়ার পিছনে মালহুন হাতুনের অবদান ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে। কে ছিলো মালহুন হাতুন ? মালহুন হাতুনের প্রকৃত ইতিহাস আমাদের সবার জানা উচিত সেইজন্যে আমি রেফারেন্স সহকারে মালহুন হাতুনের জীবনী উল্লেখ করেছি আলোচ্য লেখনীতে। মালহুন হাতুনের কৃতিত্ব ও বীরত্বের কথা  নিয়ে আজকের কন্টেন্ট তৈরী করেছি । ইন শা আল্লাহ মালহুন হাতুন কে এই প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে পেয়ে যাবেন যদি আজকে লেখনীটা পড়েন তাহলে নিম্নে মালহুন হাতুনের ইতিহাস তুলে ধরা হলোঃ-   প্রাথমিক পরিচয়ঃ- মালহুন হাতুন ছিলেন উসমানীয়া সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর  সহধর্মীনী।  তাছাড়া তিনি উরহান গাজীর সম্মানিতা মাতা ছিলেন।   তাছাড়া, তার পাঁচটি সন্তান ছিলো যাদের নাম ছিলো, চোবান বে (Çoban Bey) ফাতেমা হাতুন ( Fatma Hatun) পাজার্লু বে ( Pazarlu Bey) মেলিক বে (Melik Bey) এবং হামিদ বে ( Hamid Bey)   তাদের মধ্যে মালহুন হাতুনের বড়ো ছেলে উরহান গাজী উত্তরাধিকারী হন এবং উসমানীয়া সাম্রাজ্যের উসমান গাজীর পরে তিনি সুলতান হন।  আমরা ইতিমধ্যে ওরহান গাজীর ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছি।   জন্মঃ - ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দে মালহুন হাতুন আনাতোলিয়ায় জন্ম গ্রহন করেন ।  পিতাঃ- তুর্কি ইতিহাসে বাবার নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে , কোনো কোনো ইতিহাসবিদগণের মতে বাবার নাম ছিলো ওমর বে , এবং কারো মতে শেইখ এদেবালী কিংবা ওমর আব্দুল আজিজ বে ।  ধর্মঃ- মুসলিম  জাতীয়তাঃ তুর্কির অধিবাসী ।  মালহুন হাতুনের ইতিহাসঃ- ১৩২৪ এন্ডোয়মেন্ট দলিল থেকে এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্য অনুসারে লিপিবদ্ধ আছে যে, মালহুন হাতন শেখ এদেবালীর মেয়ে ছিলেন না বরং ওমর বে'র মেয়ে ছিলেন। অ্যানাতোলিয়ার রাজবংশের দ্বারা ব্যবহৃত "বে" উপাধি থেকে বোঝা যায় যে মালহুন হাতুনের বাবা কিছু মর্যাদা এবং কর্তৃত্বের ব্যক্তি ছিলেন। একটি সম্ভাবনা হল যে তিনি একটি "উমরি" প্রিন্সিপালিটির নামধারী শাসক ছিলেন, যা উদীয়মান অটোমান রাজ্যের উত্তর -পূর্বে অবস্থিত এবং ১৩ তম বা  ১৪ শতকের প্রথম দিকে অদৃশ্য হয়ে যায় । বাইজেন্টাইন ঐতিহাসিক জর্জ প্যামেরেস আমোরি বর্ণনা করেছেন, যিনি বলেছেন যে, "উমরের একটি ছেলে স্থানীয় বাইজেন্টাইন লর্ডসের (বাফাইনের বিজয়ের সময়) বিরুদ্ধে প্রথম অভিযানে ওসমানের সাথে যুদ্ধ করেছিল। পাচিমেরেসের মতে, অটোমানরা উত্তর -পশ্চিম আনাতোলিয়ায় বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে প্রধান আক্রমণকারী হিসাবে ওমরের বসতী ভূমিকা  পালন করেছিলো   মালহুন হাতুনের বিয়েঃ  প্যাচিমেরেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উসমান গাজীর সঙ্গে ওমর বে'র মেয়ে মালহুন হাতুনের বিয়ে ছিলো রাজনৈতিক কৌশল, কায়ী বসতি ও ওমর বে'র বসতী একত্রিত হওয়া ছিলো উক্ত বিয়ের একমাত্র লক্ষ্য ছিলো।  আর তাছাড়া উসমান গাজী মালহুন হাতুনকে মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে পাশে পেয়েছিলেন। উসমানের প্রতি তার ছিলো অসীম ভালবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। দীর্ঘজীবন তিনি উসমানের সেবা করে গেছেন।   মৃত্যুঃ- মালহুন হাতুন ১৩২৩ সালে মৃত্যু বরণ করেন।   লেখাঃ-  মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু   Page:- Hamidul Islam Raju  আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন।   বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী   ওরহান গাজীর জীবনীঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-    উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ-   সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-  তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-  শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-  সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের বাণী ও উপদেশঃ-  সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ বিন কায়কাউস এর ইতিহাসঃ-  আইগুল হাতুনের দুঃখ দুর্দশা কেবল বাবা মা'র জন্য   দোগান আল্পের ইতিহাসঃ-  আয়া নিকোলার সঠিক
মালহুন হাতুনের ইতিহাস 

ভূমিকাঃ আমরা কম বেশি মালহুন হাতুনের ইতিহাস সম্পর্কে জানি। উসমানীয়া সাম্রাজ্য প্রসারিত হওয়ার পিছনে মালহুন হাতুনের অবদান ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে। কে ছিলো মালহুন হাতুন ? মালহুন হাতুনের প্রকৃত ইতিহাস আমাদের সবার জানা উচিত সেইজন্যে আমি রেফারেন্স সহকারে মালহুন হাতুনের জীবনী উল্লেখ করেছি আলোচ্য লেখনীতে। মালহুন হাতুনের কৃতিত্ব ও বীরত্বের কথা  নিয়ে আজকের কন্টেন্ট তৈরী করেছি । ইন শা আল্লাহ মালহুন হাতুন কে এই প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে পেয়ে যাবেন যদি আজকে লেখনীটা পড়েন তাহলে নিম্নে মালহুন হাতুনের ইতিহাস তুলে ধরা হলোঃ- 

প্রাথমিক পরিচয়ঃ- মালহুন হাতুন ছিলেন উসমানীয়া সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর  সহধর্মীনী।  তাছাড়া তিনি উরহান গাজীর সম্মানিতা মাতা ছিলেন।

 

তাছাড়া, তার পাঁচটি সন্তান ছিলো যাদের নাম ছিলো, চোবান বে (Çoban Bey) ফাতেমা হাতুন ( Fatma Hatun) পাজার্লু বে ( Pazarlu Bey) মেলিক বে (Melik Bey) এবং হামিদ বে ( Hamid Bey) 

তাদের মধ্যে মালহুন হাতুনের বড়ো ছেলে উরহান গাজী উত্তরাধিকারী হন এবং উসমানীয়া সাম্রাজ্যের উসমান গাজীর পরে তিনি সুলতান হন।  আমরা ইতিমধ্যে ওরহান গাজীর ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছি। 

জন্মঃ - ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দে মালহুন হাতুন আনাতোলিয়ায় জন্ম গ্রহন করেন ।

পিতাঃ- তুর্কি ইতিহাসে বাবার নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে , কোনো কোনো ইতিহাসবিদগণের মতে বাবার নাম ছিলো ওমর বে , এবং কারো মতে শেইখ এদেবালী কিংবা ওমর আব্দুল আজিজ বে ।

ধর্মঃ- মুসলিম

জাতীয়তাঃ তুর্কির অধিবাসী ।

মালহুন হাতুনের ইতিহাসঃ- ১৩২৪ এন্ডোয়মেন্ট দলিল থেকে এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্য অনুসারে লিপিবদ্ধ আছে যে, মালহুন হাতন শেখ এদেবালীর মেয়ে ছিলেন না বরং ওমর বে'র মেয়ে ছিলেন। অ্যানাতোলিয়ার রাজবংশের দ্বারা ব্যবহৃত "বে" উপাধি থেকে বোঝা যায় যে মালহুন হাতুনের বাবা কিছু মর্যাদা এবং কর্তৃত্বের ব্যক্তি ছিলেন। একটি সম্ভাবনা হল যে তিনি একটি "উমরি" প্রিন্সিপালিটির নামধারী শাসক ছিলেন, যা উদীয়মান অটোমান রাজ্যের উত্তর -পূর্বে অবস্থিত এবং ১৩ তম বা  ১৪ শতকের প্রথম দিকে অদৃশ্য হয়ে যায় । বাইজেন্টাইন ঐতিহাসিক জর্জ প্যামেরেস আমোরি বর্ণনা করেছেন, যিনি বলেছেন যে, "উমরের একটি ছেলে স্থানীয় বাইজেন্টাইন লর্ডসের (বাফাইনের বিজয়ের সময়) বিরুদ্ধে প্রথম অভিযানে ওসমানের সাথে যুদ্ধ করেছিল। পাচিমেরেসের মতে, অটোমানরা উত্তর -পশ্চিম আনাতোলিয়ায় বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে প্রধান আক্রমণকারী হিসাবে ওমরের বসতী ভূমিকা  পালন করেছিলো 

মালহুন হাতুনের বিয়েঃ

প্যাচিমেরেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উসমান গাজীর সঙ্গে ওমর বে'র মেয়ে মালহুন হাতুনের বিয়ে ছিলো রাজনৈতিক কৌশল, কায়ী বসতি ও ওমর বে'র বসতী একত্রিত হওয়া ছিলো উক্ত বিয়ের একমাত্র লক্ষ্য ছিলো।  আর তাছাড়া উসমান গাজী মালহুন হাতুনকে মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে পাশে পেয়েছিলেন। উসমানের প্রতি তার ছিলো অসীম ভালবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। দীর্ঘজীবন তিনি উসমানের সেবা করে গেছেন। 

মৃত্যুঃ- মালহুন হাতুন ১৩২৩ সালে মৃত্যু বরণ করেন।


লেখাঃ-  মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু 

Page:- Hamidul Islam Raju

আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী 

ওরহান গাজীর জীবনীঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-  

উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ- 

Post a Comment

0 Comments