আর্তুগ্রুলের ছেলে উসমানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস! Osman Gazi life story

by - Md. Hamidul islam on - April 29, 2021
উসমানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ আনাতােলিয়ার ছােট্ট একটি জায়গীর ছিলাে সুগুত। এর অধিপতি ছিলেন আর্তুগ্রুল গাজী । ১২৫৮ খৃষ্টাব্দে আত্তুগরিলের এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম রাখা হয় উসমান। ১২৮৮ খৃষ্টাব্দে আর্তুগ্রুল ইন্তিকাল করেন। উসমানের বয়স তখন ত্রিশ বছর। তিনি পিতৃ মসনদে বসেন। সুগুতের একজন প্রখ্যাত দীনদার ব্যক্তি ছিলেন আবিদ আলী। উসমান তাঁর কন্যা মালহুন হাতুনকে বিয়ে করেন। ১২৯৯ খৃষ্টাব্দে উসমান ইয়েনি দখল করে রাজ্য সীমা বর্ধিত করেন। তিনি ইয়েনি শহরে তাঁর রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন। উসমান 'আমীর উপাধি গ্রহণ করেন। ২. উসমান যেমন ছিলেন উসমান ছিলেন ইসলামী নৈতিকতার বিমূর্ত রূপ। তাঁর জীবন ছিলাে খুবই অনাড়ম্বর। তিনি ছিলেন উঁচু মাপের শাসক। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে তিনি সকলের সুখ-শান্তির কথা ভাবতেন। তিনি তাঁর দীনদার শ্বশুরকে প্রথমে কাযী ও পরে উযীর নিযুক্ত করেছিলেন। উসমান রাজ্যময় মাসজিদ নির্মাণ করে ছালাত কায়েম এবং ইসলামী জ্ঞানচর্চার সুব্যবস্থা করেন। তিনি ছিলেন খুবই বিচক্ষণ। সৈনিক হিসেবেও তিনি ছিলেন অসাধারণ। তাঁর রণকৌশল ছিলো অত্যন্ত উন্নত মানের। যুদ্ধে প্রাপ্ত মালে গানীমার এক পঞ্চমাংশ রাষ্ট্র-তহবিলে জমা করে বাকি চার ভাগ সৈনিকদের মধ্যে বন্টন করে দিতেন। সাধারণত তিনি কোমলতা অবলম্বন করতেন। কিন্তু প্রয়ােজনে তিনি হতেন ইস্পাতের মতাে কঠিন। তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। তাঁর উত্তরাধিকারীদের জন্যও কোন ধন-রত্ন জমা করে যাননি। ইন্তিকালের পূর্বে তিনি তাঁর পুত্র ওরখানকে সম্বােধন করে বলেন, "তােমার প্রতি আমার নির্দেশ এই যে কখনাে যুলম ও নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করবেনা। বিজিত অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের উদ্যোগ নেবে। জ্ঞানী ব্যক্তিদের সম্মান করবে। শারীয়ার বিধি-বিধান মেনে চলবে। ঐশী আইনই আমাদের বড়াে শক্তি। পরম করুণাময়ের পথেই আমাদের সমৃদ্ধি। প্রজাদের রক্ষণাবেক্ষণ তােমার বড়াে কর্তব্য। এই কর্তব্য পালন করতে পারলে তুমি পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ ও আশ্রয় লাভ করতে পারবে। ৩. রণাংগনে উসমান ১২৯৯ খৃষ্টাব্দে তাঁর সেনাপতিত্বে তাঁর সৈন্যগণ ইয়েনি দখল করে। এই ইয়েনি শহরই হয় উসমানী খিলাফাতের প্রথম রাজধানী। ১৩০১ খৃষ্টাব্দে পার্শ্ববর্তী খৃষ্টান দেশ গ্রীসের সাথে উসমানের যুদ্ধ বাধে। গ্রীসই তখন পূর্ব রােমান সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র। কুয়ুন হিসার যুদ্ধে গ্রীক সেনাপতি মুজালােনকে পরাজিত করে তিনি গ্রীস সাম্রাজ্যের কিছু অংশ দখল করেন। ১৩০২ খৃষ্টাব্দে গ্রীসের রাজা এক বিশাল সৈন্য বাহিনী নিয়ে আমীর উসমানের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। যুদ্ধে গ্রীসের রাজা পরাজিত হন। তাঁর রাজ্যের এশীয় অঞ্চল উসমানের পদানত হয়। এই যুদ্ধের এক পর্যায়ে অন্যতম গ্রীক সেনাপতি এভারনােজ আল ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। মুসলিমদের আচরণ, চারিত্রিক পবিত্রতা এবং শৃংখলা দেখে তিনি মুগ্ধ হন। তিনি তাঁর অনুগত সৈন্যদেরকে নিয়ে খৃষ্টানধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে এভারনােজ এবং তাঁর সাথীদের তলােয়ার ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৩১৭ খৃষ্টাব্দে আমীর উসমানের সুযােগ্য পুত্র ওরখান গ্রীকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে প্রসিদ্ধ ব্রুসা নগরী দখল করেন। অতপর এই ব্রুসাই হয় উসমানী খিলাফাতের রাজধানী। ৪. উসমানের ইন্তিকাল উসমান ৩৮ বছর শাসনকার্য পরিচালনা করেন। ১৩২৬ খৃষ্টাব্দে তিনি ৭০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন।

প্রথম উসমানের জীবনী

উসমানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ 

 আনাতােলিয়ার ছােট্ট একটি জায়গীর ছিলাে সুগুত। এর অধিপতি ছিলেন আর্তুগ্রুল গাজী । ১২৫৮ খৃষ্টাব্দে আর্তুগ্রুলের এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম রাখা হয় উসমান। ১২৮৮ খৃষ্টাব্দে আর্তুগ্রুল গাজী ইন্তিকাল করেন। 

উসমানের বয়স তখন ত্রিশ বছর। তিনি পিতৃ মসনদে বসেন। সুগুতের একজন প্রখ্যাত দীনদার ব্যক্তি ছিলেন আবিদ আলী। উসমান তাঁর কন্যা মালহুন হাতুনকে বিয়ে করেন। ১২৯৯ খৃষ্টাব্দে উসমান ইয়েনি দখল করে রাজ্য সীমা বর্ধিত করেন। তিনি ইয়েনি শহরে তাঁর রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন। উসমান 'আমীর উপাধি গ্রহণ করেন। 

 উসমান যেমন ছিলেনঃ- 

উসমান ছিলেন ইসলামী নৈতিকতার বিমূর্ত রূপ। তাঁর জীবন ছিলাে খুবই অনাড়ম্বর। তিনি ছিলেন উঁচু মাপের শাসক। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে তিনি সকলের সুখ-শান্তির কথা ভাবতেন। তিনি তাঁর দীনদার শ্বশুরকে প্রথমে কাযী ও পরে উযীর নিযুক্ত করেছিলেন। উসমান রাজ্যময় মাসজিদ নির্মাণ করে ছালাত কায়েম এবং ইসলামী জ্ঞানচর্চার সুব্যবস্থা করেন। তিনি ছিলেন খুবই বিচক্ষণ। সৈনিক হিসেবেও তিনি ছিলেন অসাধারণ। তাঁর রণকৌশল ছিলো অত্যন্ত উন্নত মানের। যুদ্ধে প্রাপ্ত মালে গানীমার এক পঞ্চমাংশ রাষ্ট্র-তহবিলে জমা করে বাকি চার ভাগ সৈনিকদের মধ্যে বন্টন করে দিতেন। সাধারণত তিনি কোমলতা অবলম্বন করতেন। কিন্তু প্রয়ােজনে তিনি হতেন ইস্পাতের মতাে কঠিন। তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। তাঁর উত্তরাধিকারীদের জন্যও কোন ধন-রত্ন জমা করে যাননি। ইন্তিকালের পূর্বে তিনি তাঁর পুত্র ওরখানকে সম্বােধন করে বলেন, "তােমার প্রতি আমার নির্দেশ এই যে কখনাে যুলম ও নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করবেনা। বিজিত অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের উদ্যোগ নেবে। জ্ঞানী ব্যক্তিদের সম্মান করবে। শারীয়ার বিধি-বিধান মেনে চলবে। ঐশী আইনই আমাদের বড়াে শক্তি। পরম করুণাময়ের পথেই আমাদের সমৃদ্ধি। প্রজাদের রক্ষণাবেক্ষণ তােমার বড়াে কর্তব্য। এই কর্তব্য পালন করতে পারলে তুমি পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ ও আশ্রয় লাভ করতে পারবে।

 রণাংগন উসমানঃ-

১২৯৯ খৃষ্টাব্দে তাঁর সেনাপতিত্বে তাঁর সৈন্যগণ ইয়েনি দখল করে। এই ইয়েনি শহরই হয় উসমানী খিলাফাতের প্রথম রাজধানী। ১৩০১ খৃষ্টাব্দে পার্শ্ববর্তী খৃষ্টান দেশ গ্রীসের সাথে উসমানের যুদ্ধ বাধে। গ্রীসই তখন পূর্ব রােমান সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র। কুয়ুন হিসার যুদ্ধে গ্রীক সেনাপতি মুজালােনকে পরাজিত করে তিনি গ্রীস সাম্রাজ্যের কিছু অংশ দখল করেন। ১৩০২ খৃষ্টাব্দে গ্রীসের রাজা এক বিশাল সৈন্য বাহিনী নিয়ে আমীর উসমানের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। যুদ্ধে গ্রীসের রাজা পরাজিত হন। তাঁর রাজ্যের এশীয় অঞ্চল উসমানের পদানত হয়। এই যুদ্ধের এক পর্যায়ে অন্যতম গ্রীক সেনাপতি এভারনােজ আল ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। 

মুসলিমদের আচরণ, চারিত্রিক পবিত্রতা এবং শৃংখলা দেখে তিনি মুগ্ধ হন। তিনি তাঁর অনুগত সৈন্যদেরকে নিয়ে খৃষ্টানধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে এভারনােজ এবং তাঁর সাথীদের তলােয়ার ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৩১৭ খৃষ্টাব্দে আমীর উসমানের সুযােগ্য পুত্র ওরখান গ্রীকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে প্রসিদ্ধ ব্রুসা নগরী দখল করেন। অতপর এই ব্রুসাই হয় উসমানী খিলাফাতের রাজধানী। 

  উসমানের মৃত্যুঃ-

 উসমান ৩৮ বছর শাসনকার্য পরিচালনা করেন। ১৩২৬ খৃষ্টাব্দে তিনি ৭০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন।

উসমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোচনা করা হয়েছে, আরো তথ্য নির্ভর আলোচনা করবো কবিদের নতুন ভূবন ব্লগসাইটে ইন শা আল্লাহ ।

পোষ্ট করেছেনঃ-  মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু 

Page:- Hamidul Islam Raju

আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

  1. বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী 
  2. ওরহান গাজীর জীবনীঃ-
  3. আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-  
  4. উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ- 
  5. সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-
  6. তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-
  7. শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
  8. আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-
  9. সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের বাণী ও উপদেশঃ-
  10. সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ বিন কায়কাউস এর ইতিহাসঃ-
  11. আইগুল হাতুনের দুঃখ দুর্দশা কেবল বাবা মা'র জন্য 
  12. দোগান আল্পের ইতিহাসঃ-
  13. আয়া নিকোলার সঠিক
  14. মালহুন হাতুনের প্রকৃত ইতিহাস 
  15. তুরগুত আল্পের ইতিহাসঃ-
  16. বামসী বেইরেক খান ইতিহাসঃ
Tags
Reactions
Md. Hamidul islam

Posted by Md. Hamidul islam

আমি লেখক কিংবা কবি নয়, তবুও লেখালেখি করি কিংবা কবিতার লাইল গুলো টানি। মনের কথা গুলো মুখের ভাষায় বলতে দ্বিধাবোধ করি বিধায় মনের ভেতর জমে থাকা কথা গুলো গুটি গুটি শব্দে মার্জিত ভাবে লেখার ভাষায় উপস্থাপন করি। অবসর সময়ে একটু আধটু লেখালেখি করি। মনের ভাষাকে লেখার ভাষায় প্রকাশ করে উহা পাঠকদের কাছে পৌছাইয়া দেই। আর পাঠকবর্গরা একঝাক মনের আনন্দ নিয়ে লেখনী পড়ে, এতে করে নিজেও পরিতৃপ্তি পাই। তাছাড়া, আমি একজন শিক্ষার্থী, বর্তমানে আইন নিয়ে পড়ছি ।পড়াশুনার পাশাপাশি লেখালেখি করছি। "কবিদের নতুন ভূবন" নামে ব্লগস্পট তৈরী করেছি , নিজের লেখা গুলো সংরক্ষণ করে রাখার জন্য । সাবলীল ভাবে লেখনী টেনে আসছি আর ভালো কিছু লেখার প্রত্যাশা নিয়ে এই ছোট্ট ব্লগার কাজ করে যাচ্ছে, যদি একদিন হারিয়ে যাই এই ভুবন থেকে , মনে পড়বে কী আমার কথা? অতঃপর স্মৃতির পাতায় ................ কিংবা কুয়াশার কালো মেঘে ঢাকা ..... অন্ধকার রজনীর মতো ধুয়াসা হয়ে যাবে সবকিছু তবুও মনের গহীন থেকে বলছি, হে ! হৃদয়ে মাঝে রেখো দাও মোরে | তোমাদের প্রিয় ভাই মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু

Post a Comment

0 Comments