আরতগ্রুল বিন সোলায়মান শাহ্ পর্ব-১  | Ertugrul Bin Suleiman Shah Part-1 | বিখ্যাত ব্যক্তি আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনী।


 আরতগ্রুল বিন সোলায়মান শাহ্ পর্ব-১ 

 নামঃ আরতুগ্রুল, Ertuğrul আরতগ্রুল বিন সোলায়মান শাহ্ (ارطغرل بن سلیمان شاہ) 

উপাধিঃ গাজী জন্মঃ ১১৯১ খ্রীঃ (ধারণা করা হয়) 

মৃত্যুঃ ১২৮০ খ্রীঃ 

জন্মস্থানঃ আখলাত (ধারণা করা হয়) 

মৃত্যুস্থানঃ সোগুত, বিলিকি প্রদেশ, তুরস্ক 

সমাধিস্থলঃ আরতগ্রুল গাজী তুর্বেসী 

দাম্পত্যসঙ্গীঃ হালিমা হাতুন (সেলজুক শাহাজাদী)

 সন্তানাদিঃ উসমান গাজী, সারু বাতু সাভচি বে, গুন্দুজ বে

পিতাঃ সুলেইমান শাহ (গুন্দুজ আল্প, বিতর্কিত)

 মাতাঃ হায়মা হাতুন 

ভাই-বোনঃ সুংগুরতেকিং, গুন্দারো, দুন্দার

 শশুরঃ শাহজাদা নোমান (সেলজুক শাহজাদা)

 ধর্মবিশ্বাসঃ ইসলাম 

জাতীয়তাঃ অঘুজ তুর্ক ।

কেউ কি কোন দিন ভেবে ছিল! সেগুতের এই ছোট্ট জায়গায় একদিন গড়ে উঠবে একটি সাম্রাজ্য যা স্থায়ী থাকবে ছয়শ বছরের ও বেশি সময় ধরে। একজন বিচক্ষণ নেতা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন নিজেদের স্থায়ী ভূমি ছাড়া কখনও তাদের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটবে না। কিন্তু তখন পুরো পৃথিবীর জুড়ে ছিলো মঙ্গলদের আতংক! মধ্য এশিয়া কে তারা ধ্বংস ইস্তুপে পরিনত করেছিল। ওদের কে ঠেকাবে, কারও সে সাধ্য নেই, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল পুরো পৃথিবী থেকে মুসলমানদের নাম নিশানা মুছে ফেলবে তারা। তখনই একজন আশার আলো নিয়ে এলেন। সেগুতে পুতলেন একটি স্বপনের বীজ, যার ফলে শুধু নিজের গোত্রেরই ঠাই হয় নি, নতুন ভাবে ইসলামী খিলাফতও প্রতিষ্ঠীত হয়েছিল। একবার চিন্তা করে দেখুন তো খিলাফত ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার আরও ৬০০ বছর আগেই বিলুপ্ত হতে পারতো, সেলজুক সাম্রাজ্য যখন মোঙ্গলদের আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত, যখন সেলজুক সাম্রাজ্যের আলো মিটমিট করে জ্বলছিল। কে সবার মনে আশার আলো নিয়ে এলো? কে মুসলিম সাম্রাজ্য রক্ষার এই গুরু দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিলেন? কে উসমানী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেছিলেন? তিনি হলেন আরতগ্রুল বিন সোলায়মান শাহ্ যাকে আমরা আরতগ্রুল গজী হিসেবেই চিনে থাকি। একজন বলিষ্ঠ নেতার ভূমিকায় জাতির জীবনের গতিপথ বদলে যায়। যাযাবরও নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পানে পথ চলা শুরু করে। রক্তাক্ত আনাতোলিয়াঃ আক্ষরিক অর্থে আনাতোলিয়া কে বলা হয় ― ছোট এশিয়া small Asia। গ্রিক ভাষা একে বলা হয়― Μικρὰ Ἀσία । এর অপর নাম আনাতোলিয়া (Anatolia)। গ্রিক Ἀνατολή, Anatolḗ শব্দের অর্থ হলো― পূর্ব, সূর্য (উদয়)। তুরস্কের বেশিরভাগ অংশ এই উপদ্বীপেই গঠিত। আধুনিক তুর্কি ভাষায় একে বলা হয় Anadolu। এর অন্যান্য নাম এশিয়ান তুরস্ক, আনাতোলিয়ান উপদ্বীপ, আনাতোলিয়ান উপত্যাকা এবং তুরস্ক। আনাতোলিয়াকে ইংরেজিতে এশিয়া মাইনর (Asia minor) নামেও ডাকা হয়। মোঙ্গলদের কাছে সেলজুকদের পরাজয়ের ফলে পুরো আনাতলিয়া কেমন যেন এক থম-থমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। আনাতলিয়ায় তখন সেলজুকরা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। প্রতিদিন কমছিল সেলজুকদের ক্ষমতা। যে যেভাবে পারতো বিভিন্ন গোত্র প্রধানরা পেশী শক্তি মাধ্যমে আনাতলিয়া বিভিন্ন অঞ্চল শাসন করতো। মোট কথা মগের মুল্লুক বললে একেবারে ভুল হবে না। এক সময় সেলজুক রাজধানী কনিয়া কারামানোলু মেহমেদ বে নিয়ন্ত্রণ করতো। আনাতলিয়ার বাকি অংশ চলে গেছিল বিভিন্ন অঘুজ গোত্রের হাতে। এদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো যথেষ্ট শক্তি সেলজুকদের ছিল না। তবু মঙ্গোলদের প্রদান করা কর আদায়ের জন্য যেটুকু শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন, তা তারা করতো। নিজেদের শক্তিতে না কুলালে ডেকে না হতো মোঙ্গল নোইয়ানকে। আনাতলিয়া নামে মাত্র সেলজুকরা শাসন করতো। সেলজুক সাম্রাজ্য ছিল তখন মোঙ্গলদের নাচের পুতুল। মোঙ্গলরা যেভাবে নাচাতো সেভাবে সেলজুকরা নাচতে বাধ্য ছিল। সব কিছু মোঙ্গলরা ঠিক করতো। কে সিংহাসনে বসবে? কার সাথে কার চুক্তি হবে? কে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবে? কে কোন ভূমির (উচ ব) গর্ভরনরে দায়িত্ব পালন করবে? ওঘুজ তুর্কমেনদের উত্থানঃ ১২৭৭,১২৮২,১২৮৭ দশ বছর সময়ের ভেতর তিন বার আনাতোলিয়ায় মোঙ্গল বিরোধী বিদ্রোহ হয়েছিল। প্রথম দু'বার সহজে তা দমন করা গেলেও তিন বারের বার এই বিদ্রোহ দমন করতে মোঙ্গলদের বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। তারা বুঝতে পারছিল, ওঘুজদের নিয়ন্ত্রণ করা বড়ো কঠিন কাজ ১২৯২ সালে আবার বিদ্রোহ হলো, একইসঙ্গে মোঙ্গল ও তাদের করদ প্রজা রাষ্ট্র সেলজুকদের বিরুদ্ধে। সেলজুকরা এবারও কঠোর হাতে দিদ্রোহ দমন করে। কিন্তু এই বিদ্রোহ দমনে তারা নিজেদের শেষ শক্তিটুকুও ব্যয় করে ফেলেছিল। এরপর থেকে আনাতোলিয়ায় পশ্চিমে সেলজুকদের কোন কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রইল না। এই জায়গাটা ভৌগোলিক ভাবেও ছিল ওঘুজ গোত্রগুলোর জন্য চমৎকার। শীতে তারা এখানকার ঢালু সমভূমি আর উপত্যকাগুলোতে নেমে আসত, গ্রীষ্মে ওঠে যেত উচু পার্বত্য জমিতে। এখানে তাদের ছাগল-ভেড়া আর ঘোড়া-মহিষ চরানোর জন্য যথেষ্ট তৃনভূমি ছিল, সেইসঙ্গে ছিল গম আর ধান ফলানোর মতো উর্বর নিচু জমিও। ফলে ওঘুজ তুর্কমেন গোত্রগুলো একের পর এক নতুন বেইলিক (ক্ষুদ্র রাজ্য) প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করল। বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদের বিশ্বাসী তুর্কি জাতির যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিল, তাদেরকে বলা হতো তুর্কমেন। তুর্কমেন শব্দটি উদ্ভাবিত হয় তুর্ক ও ঈমান শব্দ থেকে, কালের পরিক্রমার শব্দ-দুটির একসাথে তুর্কমেন হয়ে যায়। তুর্কমেন বলতে আসলে তুর্কি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বোঝায়। আর তুর্কি জাতিভুক্ত নানা বংশের অন্যতম হচ্ছে ওঘুজ। ইতিহাসবিদদের মতে, ওঘুজরাই প্রথম ইসলাম গ্রহন করে, এমন কি একাদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে প্রায় সব ওঘুজরাই মুসলমান হয়ে যায়। তাই বলা যায় তুর্কমেন বলতে সুনির্দিষ্ট ভাবে তুর্কি জাতির ওঘুজ বংশকেই বুঝায়। দক্ষিণ-পশ্চিম, বিলেজিক, উওরে জান্দারি আর কাস্তমানু বেইলিকগুলো একের পর এক ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠছিল। এদের বিরুদ্ধে কিছু করা সেলজুকদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। কাজে-কর্মে স্বাধীন হলেও এরা সবাই সেলজুকদের সামান্য কিছু নামকাওয়াস্তে কর দিত এবং এদের মসজিদগুলোতে জুম্মার খুতবায় সুলতানের নামই পড়া হতো। এদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়ো ছিল জারমিয়ান বেইলিক আর সবচেয়ে ছোট ছিল বিলেজিক বেইলিক। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পূর্ব সীমান্তের সাথেই ছিল জারমিয়ান, কারেসি, বিলেজিক আর হামিদি বেইলিকের অবস্থান। এই অঞ্চলের রাজনীতি দিনকে দিন জটিল হয়ে ওঠছিল। ওঘুজরা শুরু থেকেই যোদ্ধা, গাজী হিসেবে তাদের ছিল সুখ্যাতি। পশ্চিম সীমান্তে বাইজেন্টাইনদের ভেঙ্গে পড়া সীমান্ত ব্যবসায়ী, ওঘুজ গাজী ও সুফি দরবেশদের দাওয়াতি কাজের জন্য খুলে দিলো নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। “ব্যবসায়ীরা খুজছিল ব্যবসা। ডাকাতরা খুজছিল লুট করার সুযোগ। ওঘুজ গাজীরা চাইছিল যুদ্ধের সুযোগ। বেইলিকগুলো নিজেদের সীমানা বিস্তৃত করতে চাইছিল। সুফিরা খুজতেন নতুন জনগোষ্ঠী, যাদের ভেতর ইসলাম প্রচার করা যায়।” মোঙ্গলরা যখন মধ্য এশিয়ায় রক্তের উন্মাদ খেলায় মেতে ওঠে, তখন সেখানে বসবাস করতো প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা। তারা সবাই নিজের জীবন রক্ষার জন্য, একটু নিরাপদ জমি পাওয়ার জন্য নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে হন্নে হয়ে পালাতে শুরু করে। আবালবৃদ্ধবনিতা কাফেলার পর কাফেলা নিজ নিজ গোত্রের নেতা সহ উওর ককেশাসের পর্বতময় অঞ্চল হয়ে আনাতলিয়ার ইরজিনজান,আখলাত,দিযার, বাকির,মারদিন,উরফা ইত্যাদি পূর্বাঅঞ্চলীয় এলাকা সমূহে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করতে শুরু করে। তখনকার দৃশ্য কেমন ছিল, তা বুঝতে আজকের সিরিয়া,ইরাক,ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান ও আরকানের মুসলিম শরনার্থীদের দিকে তাকাতে হবে। জীবনের তাগীদে কীভাবে তারা পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সীমান্তে ছুটে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে! এই সব তুর্কি যাযাবর গোত্র গুলোও রক্তখেকো মোঙ্গলদের হাত থেকে বাঁচতে সেদিন ছুটেছিল একটু নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে। অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত যেসব গোত্র গুলো আনাতলিয়ার দিকে পলায়ন করছিল, তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য হলো কায়ী গোত্র। চারশো তাবু ⛺ বিশিষ্ট ৪ হাজার লোক নিয়ে গোত্র প্রধান সোলায়মান শাহ্ এর নেতৃত্বাধীন। নিজেদের ভাগ্যবিড়ম্বনার এই কঠিন সময়ে তাদেরই স্বজাতি অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত সেলজুকদের স্বর্গরাজ্য আনাতলিয়া কেই কায়িরা নিজেদের মাথা গোজার আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিল। দুর্গম গিরিপথ পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে তারা আখলাতে এসে বসবাস করতে লাগল। ইতিহাসের অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী এই আখলাত। এটি একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল। উসমানীদের পর্বপুরুষদের স্মৃতিবিজড়িত এলাকা। এটিকে আখালাতও বলা হয়। ইংরেজিতে Ahlat বলে। তৎকালীন সময়ে এটি ওয়ান হ্রদের উওর-পশ্চিম দিকে আর্মেনিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে এটি তুরস্কের বিদলিস প্রদেশের অন্তর্গত একটি অঞ্চল। মধ্য-এশিয়ার মোঙ্গলদের আক্রমণের সময় তুর্কি গোত্রগুলো উওর-ককেশাসের পর্বতময় অঞ্চল হয়ে আনাতলিয়ার পূর্বঅঞ্চলীয় ইরজিনজান, আখলাত, দিয়ারে বাকির, মারদিন ও উরফা এলাকাসমূহে আশ্রয় গ্রহন করে। তন্মধ্যে কায়ি গোত্র প্রথম আখলাতে এসে আশ্রয় নেয়। পরে আবার এখান থেকেই হিজরত করে। তখন এসব অঞ্চল সেলজুক সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। সেলজুক ও বাইজেনটাইনের সীমান্তবর্তী এলাকা পূর্ব আনাতলিয়ায় অনেক জাতি ও ধর্ম-বর্নের লোকের বাস ছিল এখানে শহুরে সভ্য লোকেরা থাকত, সন্ধান মিলত যাযাবরদেরও। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মোঙ্গলদের আক্রমণে তুর্কিস্থান থেকে আসা লোকের বিশাল একটি অংশ ছিল অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত। এদের মধ্যে অন্যতম হলো কায়ী গোত্র। কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ সেখানে ছিল না বললেই চলে। পুরো আনাতলিয়া নানা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে একক অংশ একেকে নেতা নিয়ন্ত্রণ করতো। এক দিকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজের দুর্বলতা, আরেক দিকে আব্বাসি খেলাফত যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছিল। একটু খানি বিতর্কঃ আরতগ্রুল পিতা কে এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। আহমাদি, আনোয়ারি, মুহাম্মদ পাশা জিরমানলি, ইয়াজজি উগলু আলি ও ইদরিস বিদলিসি প্রমুভ সব তুর্কি-উসমানী ইতিহাসবিদদের মতে আরতগ্রুলের পিতার নাম গুন্দুজ আল্প। পক্ষান্তরে আহমাদ জাওদাত পাশা, শুকরুল্লাহ, হাসান বিন মুহাম্মদ বায়াতি, আশিক পাশা জাদা, মুহাম্মদ নাশরি প্রমুখ তুর্কি-উসমানী ইতিহাসবিদদের আরতগ্রুলের পিতা সোলায়মান শাহ্ আবার কেউ কেউ বলেন, গুন্দুজ আল্পই হলো সোলেয়মান শাহ্। সম্ভবত এ মতটি উভয় মধ্যে একটি সামজ্ঞস্য আনতে চাওয়ার প্রয়াস মাত্র। এর পক্ষে শক্ত কোন দলিল নাই, বরঞ্চ গুন্দুজ আল্প এবং সোলায়মান শাহ্ ভিন্ন ব্যাক্তি। 

সোলায়মান শাহ্ হলো একাদশ শতাব্দীকালে প্রথম আনাতলিয়া-বিজেতা এবং সেলজুক-ই-রোম রাজ্যের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এতে বোঝা যায়, সোলেমান বিন কুতলমিশকেই সোলায়মান শাহ্ মনে করছে হয়তো যারা বলেন, আরতগ্রুলের পিতা গুন্দুজ আল্প, তাদের পক্ষে সবচেয়ে বড় দলিল হলো, মাটির নিচ থেকে আবিষ্কৃত উসমান গাজির সময়কার একটি মুদ্রা, যার ওপর খোদাই করে আরতগ্রুলের নাম এবং তার পিতা গুন্দুজ আল্পের নাম লেখা রয়েছে। মুদ্রাটি বর্তমানে সংরক্ষিত আছে ইস্তাম্বুলের প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে। মুদ্রার উপরাংশে রয়েছে “উসমান বিন আরতগ্রুল — আল্লাহ তাকে শক্তিশালী করুন” মুদ্রার অপরাংশে রয়েছে “উসমান বিন আরতগ্রুল বিন গুন্দুজ আল্প” কিন্তু বললেই কি আর হয়ে যায়? আরতগ্রুলের পিতার নাম সোলায়মান শাহ্। ইতিহাসে এ মতটিই অধিক পরিচিত, গ্রাহনযোগ্য ও প্রসিদ্ধ। মোটামুটি বেশির ভাগ প্রাচীন ইতিহাস এবং উসমানিদের বংশপরম্পরা এমনটিই বর্ননা পাওয়া যায়। তা ছাড়া ইতিহাসে গুন্দুজ আল্পের কোন প্রকার জীবন বৃত্তান্ত খুজে পাওয়া যায় না। তদুপরি প্রায় সব ইতিহাসবিদই এটা বলেন যে, কায়ী পরিবার গোত্রের নেতা ছিলেন সোলায়মান শাহ্ এবং সোলায়মান শাহ্ নিজ গোত্র কে নিয়ে আনাতলিয়ার দক্ষিণাঅঞ্চল আখলাতে এসে বসতি স্থাপন করেন।তার মৃত্যুর পর গোত্রের দায়িত্ব নেন তার ছেলে আরতগ্রুল। তিনি তার গোত্র কে নিয়ে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের কাছে সেগুতের দিকে হিজরত করেন। ইতিহাসে গুন্দুজ আল্পের অস্তিত্ব বলতে মাটির নিচে পাওয়া ঐ প্রাচীন মুদ্রা টাই। আরতগ্রুল গাজী এক অনুপ্রেরণার নামঃ পরবর্তী পর্বে পাবেন ইনশাআল্লাহ......

আর্তুগ্রুল গাজী পার্ট 2

Post a Comment

0 Comments