আর্তুগ্রুল গাজীর মা হায়মে হাতুনের জীবনী | হায়মেমা কে| সংসার জীবনে হায়মে হাতুনের অবদান।

 ভূমিকাঃ হাইমে হাতুন কে এবং আর্তুগ্রুল গাজীর মা হাইমে হাতুন সম্পর্কে ও হাইমে হাতুনের জীবনী সহ সংক্ষিপ্ত ভাবে কিছু বিবরণ পেশ করেছি। 

ভূমিকাঃ হাইমে হাতুন কে এবং হাইমে হাতুন সম্পর্কে ও হাইমে হাতুনের জীবনী সহ সংক্ষিপ্ত ভাবে কিছু বিবরণ পেশ করেছি।   পরিচয়ঃ- হাইমে হাতুনের স্বামী সুলেইমান শাহ ছিলেন , কায়ী গোষ্ঠির প্রধান। তিনি দীর্ঘদিন কায়ী গোষ্ঠিকে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন। হাইমে হাতুন ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির মহিলাদের সরদার। তিনি মহিলাদেরকে নেতৃত্ব দিতেন , এবং সবাই তিনার কথা গুলো যথাযথ ভাবে মান্য করতেন।   হাইমে হাতুনের চার সন্তান ছিলো, ১. গুন্দারু বে, সুঙ্গরতেকীন, আর্তুগ্রুল গাজী এবং দুন্দার বে।    তারা প্রত্যেকেই শক্তিশালী ও সাহসী ছিলো , ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অবদান কোনো অংশে কম নেই। যদি দোন্দার বে বৃদ্ধ বয়সে ক্ষমতা লোভী হয়ে যায় এবং আর্তুগ্রুল গাজীর ছেলে তাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করে , আমরা সেই ইতিহাস পরবর্তীতে জানবো।  মা হিসেবে হাইমেমা কেমন ছিলেনঃ-  একজন মা তার প্রতিটা সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা, মায়া, আর স্নেহ থাকে হাইমেমারও ঠিক তেমনটা ছিলো।  তিনি তার সব সন্তানদের কথায় প্রাধান্য দিতেন কাউকে দুইচোখ দিয়ে দেখতেন না। প্রত্যেকের কথায় গুরুত্ব দিতেন, কেউ ভুল করলে তিনি তাদের বুঝিয়ে বলতেন।  চারটি ছেলে ছিলো আদর্শবান, সত্যিকার অর্থেই তারা এক একটা গোত্র শাসন করেছিলেন , তারা প্রত্যেকেই হায়মেমার কথা মেনে চলতেন ।   সংসার জীবনে হাইমে হাতুনের ভূমিকাঃ-  হাইমে হাতুন সংসার জীবনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। তার ছেলেরা ছিলো যুদ্ধমুখী, সবসময়ই কাফের নাইট, ও মোঙ্গল বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে যেতেন তখন ছেলের চিন্তায় সবসময়ই মশগুল থাকতেন। ছেলেদের জন্য আল্লাহর কাছে হাত তুলে দুয়া করতেন। ছেলেদের মঙ্গল কামনা করতেন । শৈশবে দুন্দার বে একদিন নাইটদের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হন, মুমূর্ষু অবস্থায় হাইমেমা দেখতে পেলেন , ছেলের এই করুণ অবস্থা দর্শন করে হাইমে হাতুন কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। এবং তিনি ছেলের শিয়রে বসে খোদার কাছে আর্তনাদ করতে থাকলেন । যতদিন ছেলে সুস্থ না হয়েছে ততদিন ছেলের সেবা শশ্রুশা করতে থাকলেন। এবং সংসার জীবনে তিনি মহিলাদের নিয়ে পোশাক তৈরীর কাজ করতেন , এবং কম্বল, লেফ বুনতেন, বলে রাখি, তৎকালীন সময়ে মহিলারা কম্বল, লেফ ও পোশাক তৈরী করতেন। এবং পুরুষেরা উহা বাজারে ক্রয় করে জীবিকা অর্জন করতেন কেননা পুরুষদের কাজ ছিলো যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করতে যাওয়া এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার পতাকা উড্ডিন করা।   শাশুরী হিসেবে হাইমে হাতুন কেমন ছিলেনঃ-  একজন শাশুরী যেমন হওয়া উচিত ঠিক হাইমে হাতুনের মধ্যে সেইসব গুণাবলী পাওয়া যায়।   হাইমে হাতুনের প্রথম গুন্দারো বেইমের স্ত্রী সেলজান হাতুন। এবং আর্তুগ্রুল গাজীর স্ত্রী সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী নোমানের কন্যা হালিমা সুলতানা।  তারা ছিলো হাইমেমার বউমা, ছেলের বউ হলেও তাদেরকে নিজের কন্যার চোখে দেখতেন। সেলজান হাতুন প্রথম অবস্থায় বসতির ক্ষতি সহ বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন তবুও হায়মে হাতুন সব জানার পড়েও সেলজান হাতুনকে ক্ষমা করে দিলেন ।  আর হালিমা সুলতানাকেও যথেষ্ট ভালোবাসতেন, হালিমা সুলতানা হাইমে হাতুনকে স্বীয় মা ভাবতেন। তার প্রতিটি কথা গুলো মেনে চলতেন।   হাইমে হাতুন হালিমা সুলতানাকে সবসময়ই দিকনির্দেশা দিতেন , এবং স্বামীর কথায় রাগান্বীত না হয়ে নিরব থাকার কথা বলতেন,  হাইমে হাতুন হালিমা সুলতানাকে বললেন,  "পুরুষরা হচ্ছে বন্য ঘােড়ার মতাে,  যদি রেগে যায় তাহলে সংসার উল্ট পাল্ট করে দিব।  তুমি যদি তােমার ঘরে শান্তি চাও তা হলে কখনো তার  উপর হুকুম চালানাের চেষ্টা করাে না।  কারণ হুকুমের দাস হয়ে থাকার জন্য তার জন্ম হয়নি,  তবে হ্যাঁ তার সাথে সব সময় ছায়ার মতাে থাকার চেষ্টা করবে। তার প্রয়োজনের দিকে নজর রেখাে, তার দেখা শুনায় অবহেলা করাে না, তা হলে দেখবে সে কেমন সােজা ঘােড়ার মতাে তােমার কথায় চলে।  যদি এই কায়দায় না চলতে পারাে, তা হলে কখনােই তার মনে পরিপূর্ণ জায়গা করে নিতে পারবে না"।   দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজ থেকে নেওয়া লেখা গুলো অসমাপ্ত থেকে গেলো, পরবর্তীতে যোগ করবো কারণ আমি একাই এই ওয়েবসাইটে লেখি । শুধু মাত্র মানুষের ভালো দিক গুলো নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলার জন্য।
হাইমে হাতুন এর ইতিহাস 

পরিচয়ঃ- হাইমে হাতুনের স্বামী সুলেইমান শাহ ছিলেন , কায়ী গোষ্ঠির প্রধান। তিনি দীর্ঘদিন কায়ী গোষ্ঠিকে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন। হাইমে হাতুন ছিলেন কায়ী গোষ্ঠির মহিলাদের সরদার। তিনি মহিলাদেরকে নেতৃত্ব দিতেন , এবং সবাই তিনার কথা গুলো যথাযথ ভাবে মান্য করতেন। 

হাইমে হাতুনের চার সন্তান ছিলো, ১. গুন্দারু বে, সুঙ্গরতেকীন, আর্তুগ্রুল গাজী এবং দুন্দার বে।  

নাতিঃ- গুন্দুজ বে, সাবচি বে, এবং উসমান বে।

উসমান গাজীর ছেলেঃ- উরহান গাজী ও আলাউদ্দিন পাশা

তারা প্রত্যেকেই শক্তিশালী ও সাহসী ছিলো , ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অবদান কোনো অংশে কম নেই। যদি দোন্দার বে বৃদ্ধ বয়সে ক্ষমতা লোভী হয়ে যায় এবং আর্তুগ্রুল গাজীর ছেলে তাকে তীরবিদ্ব করে হত্যা করে , আমরা সেই ইতিহাস পরবর্তীতে জানবো।

মা হিসেবে হাইমেমা কেমন ছিলেনঃ-

একজন মা তার প্রতিটা সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা, মায়া, আর স্নেহ থাকে হাইমেমারও ঠিক তেমনটা ছিলো।

তিনি তার সব সন্তানদের কথায় প্রাধান্য দিতেন কাউকে দুইচোখ দিয়ে দেখতেন না। প্রত্যেকের কথায় গুরুত্ব দিতেন, কেউ ভুল করলে তিনি তাদের বুঝিয়ে বলতেন।

চারটি ছেলে ছিলো আদর্শবান, সত্যিকার অর্থেই তারা এক একটা গোত্র শাসন করেছিলেন , তারা প্রত্যেকেই হায়মেমার কথা মেনে চলতেন । 

সংসার জীবনে হাইমে হাতুনের ভূমিকাঃ-

হাইমে হাতুন সংসার জীবনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। তার ছেলেরা ছিলো যুদ্ধমুখী, সবসময়ই কাফের নাইট, ও মোঙ্গল বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে যেতেন তখন ছেলের চিন্তায় সবসময়ই মশগুল থাকতেন। ছেলেদের জন্য আল্লাহর কাছে হাত তুলে দুয়া করতেন। ছেলেদের মঙ্গল কামনা করতেন । শৈশবে দুন্দার বে একদিন নাইটদের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হন, মুমূর্ষু অবস্থায় হাইমেমা দেখতে পেলেন , ছেলের এই করুণ অবস্থা দর্শন করে হাইমে হাতুন কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। এবং তিনি ছেলের শিয়রে বসে খোদার কাছে আর্তনাদ করতে থাকলেন । যতদিন ছেলে সুস্থ না হয়েছে ততদিন ছেলের সেবা শশ্রুশা করতে থাকলেন। এবং সংসার জীবনে তিনি মহিলাদের নিয়ে পোশাক তৈরীর কাজ করতেন , এবং কম্বল, লেফ বুনতেন, বলে রাখি, তৎকালীন সময়ে মহিলারা কম্বল, লেফ ও পোশাক তৈরী করতেন। এবং পুরুষেরা উহা বাজারে ক্রয় করে জীবিকা অর্জন করতেন কেননা পুরুষদের কাজ ছিলো যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করতে যাওয়া এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার পতাকা উড্ডিন করা। 

শাশুরী হিসেবে হাইমে হাতুন কেমন ছিলেনঃ-

একজন শাশুরী যেমন হওয়া উচিত ঠিক হাইমে হাতুনের মধ্যে সেইসব গুণাবলী পাওয়া যায়। 

হাইমে হাতুনের প্রথম গুন্দারো বেইমের স্ত্রী সেলজান হাতুন। এবং আর্তুগ্রুল গাজীর স্ত্রী সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদী নোমানের কন্যা হালিমা সুলতানা।

তারা ছিলো হাইমেমার বউমা, ছেলের বউ হলেও তাদেরকে নিজের কন্যার চোখে দেখতেন। সেলজান হাতুন প্রথম অবস্থায় বসতির ক্ষতি সহ বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন তবুও হায়মে হাতুন সব জানার পড়েও সেলজান হাতুনকে ক্ষমা করে দিলেন ।

আর হালিমা সুলতানাকেও যথেষ্ট ভালোবাসতেন, হালিমা সুলতানা হাইমে হাতুনকে স্বীয় মা ভাবতেন। তার প্রতিটি কথা গুলো মেনে চলতেন। 

হাইমে হাতুন হালিমা সুলতানাকে সবসময়ই দিকনির্দেশা দিতেন , এবং স্বামীর কথায় রাগান্বীত না হয়ে নিরব থাকার কথা বলতেন,

হাইমে হাতুন হালিমা সুলতানাকে বললেন,

"পুরুষরা হচ্ছে বন্য ঘােড়ার মতাে,

যদি রেগে যায় তাহলে সংসার উল্ট পাল্ট করে দিব।

তুমি যদি তােমার ঘরে শান্তি চাও তা হলে কখনো তার

উপর হুকুম চালানাের চেষ্টা করাে না।

কারণ হুকুমের দাস হয়ে থাকার জন্য তার জন্ম হয়নি,

তবে হ্যাঁ তার সাথে সব সময় ছায়ার মতাে থাকার চেষ্টা করবে। তার প্রয়োজনের দিকে নজর রেখাে, তার দেখা শুনায় অবহেলা করাে না, তা হলে দেখবে সে কেমন সােজা ঘােড়ার মতাে তােমার কথায় চলে।

যদি এই কায়দায় না চলতে পারাে, তা হলে কখনােই তার মনে পরিপূর্ণ জায়গা করে নিতে পারবে না"।


দিরিলিস আর্তুগ্রুল সিরিজ থেকে নেওয়া লেখা গুলো অসমাপ্ত থেকে গেলো, পরবর্তীতে যোগ করবো কারণ আমি একাই এই ওয়েবসাইটে লেখি । শুধু মাত্র মানুষের ভালো দিক গুলো নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলার জন্য।

 

লেখাঃ-  মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু 

Page:- Hamidul Islam Raju

আরো পড়ুন উসমানীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে বিশেষ ব্যাক্তিদের জীবনী । তাই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

বালা হাতুনের  স্বামী উসমানের জীবনী 

ওরহান গাজীর জীবনীঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনীঃ-  

উসমানের স্ত্রী বালা হাতুনের জীবনীঃ- 

সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকাঃ-

তুর্কির আর্তুগ্রুল সিরিজ সহ কয়েকটি ইসলামীক সিরিজ দেখার পর একজন শিক্ষার্থীরঅনুভূতিঃ-

শায়েখ ইবনুল আরাবী'র পঞ্চাশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

আর্তুগ্রুল গাজীর বাছাইকৃত চল্লিশটি বাণী ও উপদেশ ভিডিও সহঃ-

সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদের বাণী ও উপদেশঃ-

সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাসুদ বিন কায়কাউস এর ইতিহাসঃ-

আইগুল হাতুনের দুঃখ দুর্দশা কেবল বাবা মা'র জন্য 

দোগান আল্পের ইতিহাসঃ-

আয়া নিকোলার সঠিক

মালহুন হাতুনের প্রকৃত ইতিহাস 

তুরগুত আল্পের ইতিহাসঃ-

বামসী বেইরেক খান ইতিহাসঃ

Post a Comment

0 Comments