আরতগ্রুল বিন সোলায়মান শাহ্ পর্ব-২ | Ertugrul Bin Suleiman Shah part-2 | বিখ্যাত আর্তুগ্রুল গাজীর জীবনবৃত্তান্ত |

 আরতগ্রুল বিন সোলায়মান শাহ্ পর্ব-২ 

 আরতগ্রুল গাজী এক অনুপ্রেরণার নামঃ 

 তিনি আরতগ্রুল গাজী বা আরতগ্রুল বে নামে পরিচিত। তুর্কি ভাষায় তাকে Ertuğrul বলে। Er অর্থ- পুরুষ, সৈন্য বা বীর এবং tuğrul অর্থ- ঈগল বা একপ্রকার বিশালকার হিংস্র পাখি। আরতগ্রুল অর্থ- ঈগলজাতীয় পুরুষ, সৈন্য বা বিশালাকার পাখি। আর এটা জানা কথা যে, ঈগল নিজ পাজ্ঞা দিয়ে শিকার করেই খায়। আরতগ্রুল গাজী এই এই পৃথিবীতে মুসলিমদের সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি নিজের দুই হাজার সঙ্গীদের নিয়ে এমন হুকুম প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেছিলেন যা তিন মহাদেশ জুড়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে শাসন করে ছিল , কিন্তু আফসুসের বিষয় হলো ইতিহাসে এই মহান পুরুষের উল্লেখযোগ্য কোন জীবনবৃত্তান্ত পাওয়া যায় না। আরতগ্রুল গাজীর জীবনবৃত্তান্ত না পাওয়ার কারন হলো ১৪০৩ সালে উসমানী সুলতান প্রথম বায়েজিদের শাসনকালে বিশ্ব-বিজেতা “তৈমুর লঙ” আনাতলিয়া আক্রমণ করেছিলেন। ফিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্য তৎকালীন যুগে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সাম্রাজ্য ছিল। “তৈমুর লঙ” নিষ্ঠুরতার সংবাদে ফিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের সুলতান বায়েজিদ ক্রোধান্বিত হন। তিনি “তৈমুর লঙ” কে সতর্ক করে এজটি চিঠি প্রেরণ করেন। ইতিহাসবিদদের মতে, সর্বপ্রথম আরতগ্রুল গাজীর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় চতুর্দশ শতাব্দীর শেষলগ্নে যখন সুলতান প্রথম বায়েজিদের এই চিঠি পাওয়া যায়, যা তিনি “তৈমুর লঙ” এর কাছে লিখেছিলেন। কিন্তু এর মাধ্যমে তিনি তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করে ফেলেন। বার্তা পাওয়া মাত্র “তৈমুর লঙ” মনস্থির করেন, ফিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের গৌরব মাটিতে মিশিয়ে দিবেন। ১৪০১ সালে “তৈমুর লঙ” আনাতলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। সুলতান বায়েজিদ এই সংবাদে বিশাল বাহিনী নিয়ে প্রস্তুত হয়ে যান। ১৪০৩ সালে আধুনিক তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দুই বাহিনী মুখোমুখি হয়। সেদিন পুরো পৃথিবী “তৈমুর লঙ” এর রণকৌশলে মুগ্ধ হয়ে যায়। শক্তিশালী ফিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের “তৈমুর লঙ” এর নিকট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। যুদ্ধে সুলতান বায়েজিদ বন্দী হন। পরবর্তীতে তিনি বন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। রক্তের খেলায় মত্ত “তৈমুর লঙ” উঠেছিলেন ধ্বংসের নেশায়াও। আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাজকীয় দপ্তর আর দুর্লভ ও ঐতিহাসিক গ্রন্থে-ঠাসা তিলোত্তমা পাঠাগার। 

ছাই হয়ে গিয়েছিল অনেক অজানা জ্ঞানভাণ্ডারের নীরব-গভীর ভাষা। সে সময় ফিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের রাজকীয় সব নথিপত্র ও ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ জ্বলে ছাই হয়ে যায়। ভাগ্যগুনে যা বাকি থেকে যায়, তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত-ই কম। আরতগ্রুল গাজীর শৈশব ও কৈশোর কাটে আখলাতে। সম্পূর্ণ যাযাবরি পরিবেশে। স্বভাবগতভাবেই আরতগ্রুল গাজী সে সময় তলোয়ার পরিচলনা, তিরন্দাজি, বর্শাঘাত ও ঘোরসওয়ারি ইত্যাদি সমরবিদ্যায় পারদর্শিতা লাভ করেন। অন্য দশজন ছেলের মতো তিনি ছিলেন না, তিনি ছিলেন কায়ী গোত্র প্রধানের ছেলে। তার অবস্থা ছিল শাহজাদার মতো। ছোট বেলা থেকেই তিনি মা-বাবার গভীর পর্যবেক্ষনণ, অনুশাসন ও লালন-পালনের মধ্যে দিয়ে বড় হন। আরতগ্রুল গাজী সোলেমান শাহ এবং হায়মে হাতুন এর তৃতীয় ছেলে, কিন্তু বেশ কিছু গুনে তিনি ছিলেন অন্য ভাইদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পিতার মৃত্যুতে সাময়িকভাবে ভেঙ্গে পড়েন যুবক আরতগ্রুল। তবে একেবারে মনোবল হারিয়ে বসেননি, খুব অল্প সময়ের ভিতরেই তিনি নিজেকে সামলে নেন। শন্তিময় ও নিরাপদ একটি বাসভূমির জন্য আবারও সামনে অগ্রসর হতে থাকেন, এতে করে আরতগ্রুল গাজী পিতার মতে অটলতা ও অবিচলতার প্রমান দেন। অথচ তার দুই সহোদর সুংগুরতেকিং এবং গুন্দারোর অবস্থা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুর্গম গিরিপথ এবং উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে এসে তারা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি মনোবলও হারিয়ে বসেন এবং সামনে অগ্রসর হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। রক্তপাত থেকে বাঁচতে এবং এ অগ্রযাত্রা বৃথা যাত্রা মনে করে তারা আবারও আখলাতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অনেক বুঝিয়েও আরতগ্রুল গাজী তাদের বিরত রাখতে পারলেন না! অবশেষে আরতগ্রুল গাজীর সঙ্গ দেয় তার কনিষ্ঠ ভাই দুন্দার বে। আরতগ্রুল গাজীর প্রতিষ্ঠা করা খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যে এই পৃথিবী কে সবচেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক এবং ডাক্তার দিয়েছে। রকেট এবং মিছাইল টেকনোলজি সম্পর্কিত পৃথিবীর প্রথম যুদ্ধ জাহাজ খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের আমলেই বানানো হয়েছিল। আরতগ্রুল গাজী তার বিশ্বস্ত যোদ্ধা, ডাক্তার এবং আলিমদের নিয়ে একটি বড় সংগঠন তৈরি করেছিলেন। যারা ফ্রী তে মানুষদের সাহায্য-সহযোগীত করতো আর এদের সম্পূর্ণ খরচ আরতগ্রুল গাজী বহন করতেন সেই সংগঠনের নাম ছিল “তানজিম আল-উখুওলা”। খ্রিষ্টানদের সাথে বিভিন্ন রণক্ষেত্রে লড়ার মধ্য দিয়েই তিনি এ দলটির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে এ দলটির যে অসামান্য অবদান ছিল, তা আমরা কয়জনই বা জানি! এ দলটি ছিল আরতগ্রুল গাজীর একটি বিশেষ ইউনিট। নতুন যোদ্ধাদের প্রশিক্ষনের দায়িত্বও ছিল এই দলের। এ দলের যোদ্ধারা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরের পরিচয় দিতো। অসাধ্য কে সাধন করতো। অজেয় দূর্গ জয় করে নিত। তারা রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল বাইজেন্টাইনদের জন্য। আরতগ্রুল গাজী একাই এমন ছিলেন যে তাকে দেখলে মোঙ্গলরা পর্যন্তও ভয় পেত। ১৩শ শতাব্দীতে যখন মোঙ্গলরা মুসলমানদের সব বড় বড় শহর ধ্বংস করে দেয়, তখন আরতগ্রুল গাজী সেগুতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আরতগ্রুল গাজী ছিলেন ওঘুজ বংশের বিখ্যাত কায়ী গোত্রের প্রধান সোলায়মান শাহ এর ছেলে, আপনারা এটা জেনে অবাক হবেন যে চিনে আজ যে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যচার হচ্ছে এরা সবাই ওঘুজ বংশধর। চীনের বাইরে মধ্য এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্র যেমন কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উইঘুর বাস করে। এছাড়া আফগানিস্তান, পাকিস্তান, জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, রাশিয়া, সৌদি আরব, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কেও অল্পসংখ্যক উইঘুর রয়েছে। এরা জাতিতে তুর্কি তাই আরতগ্রুল গাজীর বংশের সাথে সম্পর্কিত। আরতগ্রুল গাজী কোরআন কে নিজের সংবিধান বানিয়েছিলেন। তার হুকুমতের আমলে সুদ এবং মাদকদ্রব্য ব্যবহার দমনে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। এই সময়ে ইহুদি এবং খ্রিষ্ঠানরাও ইসলামিক জীবন বিধান অনুযায়ী জীবনযাপন করতেন। আরতগ্রুল যখন আনাতলিয়া আসেন তখন মোঙ্গলদের কাছে সেলজুকদের পরাজয়ের ফলে পুরো আনাতলিয়া কেমন যেন এক থম-থমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। কিন্তু আরতগ্রুল গাজী আনাতলিয়ায় আগমনের ফলে হঠাৎ করে আনাতলিয়া সহ পুরো পৃথিবীর নকশা পরিবর্তন হতে শুরু করে। আরতগ্রুল গাজীর বিচক্ষণতা এবং সাহসী মনোভাবের কারনে শত্রুদের কাছে একটি ভয়ে পরিনত হয়েছিলেন। তিনি কিছু সংখ্যক সাহসী সঙ্গীর নিয়ে চেঙ্গিস খানের বিভিন্ন সেনাপতি কে নিজের পায়ের সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য করেছিলেন। আরতগ্রুল গাজী কোরআনের আইন অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। তার চোখে সকলেই সমান ছিলো, আর এই কারনে তার কাছে চেঙ্গীস খানের সেনাপতি সহ অনেক সৈন্য এবং বিধর্মীরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে নিয়েছিল। আরতগ্রুল গাজী আনাতলিয়ায় প্রবেশ করে এমন ভাবে সেগুত কে পরিচালক করেন যেটা পরবর্তীতে খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের সবচেয়ে ধনী শহরে পরিনত হয়ে যায়। আরতগ্রুল গাজী যে সাম্রাজ্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেটা সমগ্র এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ এবং আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল, সমগ্র ভূমধ্যসাগরও খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের শাসনের অধিনে ছিল। ১৭শ শতাব্দীর পর্যন্ত পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদ খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। জাপান এবং রাশিয়ার মতো দেশ খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের কাছ থেকে ঋণ নিতো। এই খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্য এতো বড় ছিলো যে যখন এই সাম্রাজ্য শেষ হয়ে যায় তখন আনাতোলিয়ায় নতুন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আধুনিক তুরস্কের উদ্ভব হয় আর সাম্রাজ্যের বাকি অংশগুলো প্রায় ৪৯টি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আরতগ্রুল গাজী বংশের ৩৬ জন সুলতান ৭শ বছরেরও বেশি সময় ধরে উসমানী সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন। আরতগ্রুল গাজীর পর ফিলাফতে উসমানীয়া ৫০০শ এর চেয়ে ও বেশি যুদ্ধ করেছিলো এর বেশি ভাগ যুদ্ধেই ফিলাফতে উসমানীয়া জয়ী হয়েছিল। আরতগ্রুল গাজী পথরের মতো কঠিন ছিলেন, যখন তিনি আনাতলিয়ায় আসছিলেন তখন তিনি শত্রুদের উপর আজরাইল হয়ে ঝাপিয়ে পড়লেন। মোঙ্গলরা আরতগ্রুল গাজী কে বহুবার মারার চেষ্টা করেন কিন্তু কখনও তারা সফল হতে পারে নি এমন কি তারা আরতগ্রুল গাজীকে মরার জন্য তাদের শত্রুদের সাথেও হাত মিলিয়ে ছিল। আপনারা এটি জেনে আশ্চর্য হবেন যে ইহুদিরা ১৩শ শতাব্দীর থেকেই ইজরায়েল কে রাষ্ট্র হিসেবে এস্থাপন করতে চাইতো আর এর জন্য তারা মুসলিমদের দেশ জেরুজালেম কে শেষ করার পরিকল্পনাও করছিলো। কিন্তু আরতগ্রুল গাজী জন্য তাদের সমস্ত পরিকল্পনা ধুলোর সাথে মিশে যায় কারন যখন সেলজুক সাম্রাজ্য শেষ হয়ে যায়, তখন আরতগ্রুল গাজী নিজের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে দেন। ১৯২৩ সালে যখন খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্যের সমাপ্তি ঘটে তখন কিছু কাগজ থেকে জানা যায় এই খিলাফতে উসমানী শেষ করার জন্য কয়েকশো বছর ধরে তারা পরিকল্পনা করে আসছিলো। এখমন কি অনেক ইহুদি মুসলিমদের পোশাক ধারন করে মসজিদের ইমামতি করতে আসতো। তারা চাইতো মুসলমানদের হৃদয় থেকে খিলাফতে উসমানী কে কিভাবে মুছে দেওয়া যায়। আরতগ্রুল গাজী সেলজুক শাহাজাদী হালিমা সুলতানা কে বিবাহ করেছিলেন তার ছোট ছেলে উসমানের নাম অনুসারে এই সাম্রাজ্যের নাম খিলাফতে উসমানীয়া রাখা হয়েছিল। আরতগ্রুল গাজী মৃত্যুর পর তার ছেলে উসমান যখন উসমানী সাম্রাজ্যের বিস্তার শুরু করেন তখন যে মুদ্রা চালু করা হয়েছিল তাহার সর্বপ্রথম আরতগ্রুল গাজীর নামেই রাখা হয়েছিল। মুসলমানদের হৃদয়ে আরতগ্রুল গাজীর নাম আজও পর্যন্ত জীবিত আছে। মুসলিমরা আজও তাকে সম্পূর্ণ ভালোবাসা এবং সম্মানের সাথে স্মরণ করে। আরতগ্রুল গাজী কে নিয়ে °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°° আমি গাজী আরতুগ্রুল জয় করেছি সগুত, পাশে পেলাম বামসী, দোগান আর সাহসী তরগুত! অটোক্যান পাহাড়ে ছিলাম যে মোড়া, স্বাধীনতার পাহাড় তাই দিলো যে নাড়া। বসতির সুলেমান শাহ ছিলো বুদ্ধিমান বাবা, বংশের বাকিরাও ছিলো না তো হাবা। অনেক অঞ্চল করলাম জয় শত্রুরা মোড়ে পায় ভয়। হালিমাকে বেসেছিলাম অনেক ভালো, সে তো ছিল আমার হ্দয়ের আলো। নয়ান, তিতুস আরো পেলাম কত সব শত্রু পাশেতো পেলাম বসতির কত শত বন্ধু আমার ছেলে ওসমান, গুন্দুদ আর সাবচী, আমিতো তাদের নিয়েই ভাবছি। নেকড়ে থেকে নেকড়েই হয়, তাদের সবাই তাই পায় ভয়। আমি গাজী আরতুরুল কাইদের বীর বসতিতে গড়ে তুললাম শান্তির নীড়। (ওজান নাঈম) খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্য কে নিয়ে °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°° আজ নেইতো সুলতান উসমান, ইসতাম্বুল ফাতিহের আহ্বান; নেইতো হুঙ্কারে সুলতান সুলেমান--- খিলাপতের এই আকাশ পানে, শূন্যে কার আহ্বান...... আজ নেইতো সালাউদ্দিন, নেইতো সাইফুদ্দিন কুতুজ; নেইতো রুকুনউদ্দিন বাইবার্স--- নব্য হায়েনাদের আক্রোশে জমিন, রক্তাক্ত দেহে আজ মলিন মুমিন..... আজ নেইতো ইখতিয়ারের ঘোড়া, খিলজির প্রখর চোখ জোড়া; নেইতো বিন কাশিমের জয়েরধারা--- পরাজয় গ্লানিতে মুসলিম আজ দিশেহারা, এই ভূমি লুন্ঠনের এক আজব পাড়া....

আজ নেইতো বাবরের জয়ের নেশা, আকবরের সেই মহান চিন্তাধারা; নেইতো সিরাজের আশার গান--- সব হয়েছে গোলামের দাস, রক্তে আজ তাঁর চাষবাস...... আজ নেইতো বীর তুর্কি, দেহ হয়েছে তোর ঠুনকো ইট সুড়কি, নেইতো মনের কঠিন ইমানি দেওয়াল--- চাপা পড়ে বিশ্বাস সব হয়েছে আড়াল, মুসলিম হয়ে গেছিস কাতুরে বিড়াল.... (জালাল আহমেদ) খিলাফতে উসমানী সাম্রাজ্য কে নিয়ে °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°° আজি এই ক্রন্দন ক্ষুব্ধ ভূমি সমতটে, অত্যাচারিতে বিপদশাঙ্কুল দিনানাতিপাতে, রয়ে তোমারি দৃঢ় অপেক্ষার পথপানে চেয়ে; বক্ষপটে প্রস্তর বাঁধিয়া কান্ডারির আগমনে।। তোমারি আগমনে..... আজি এই রক্তপিপাসু মহা সমুদ্রের স্নানে, চারিধারে দেখি মৃত্যুর মিছিলের আর্তনাদে, ধ্বনিত হইয়া উড়িতেছে মুসলিমের আজাহারি, এই পথে কবে চরণ পড়িবে তোমার হে কান্ডারি।। তোমারি আগমনে..... আজি এই ভুলভ্রান্তি সহস্র খন্ড বিখণ্ডে, চাহিয়া রইয়াছে বহু প্রাণ ধরিবে আসিয়া হাল, থাকিবেনা তব ভন্ড মুনাফিকের পথভ্রষ্ট মিথ্যে ছল, মুসলিমে থাকিবে সেথায় ইমানের শক্তিবল।। তোমারি আগমনে..... আজি এই অমাবস্যার আঁধার গগনে, জাগিয়া উঠিবে তুমি লক্ষ তরুণ প্রাণে, রহিবেনা কোথাও আর ভয়ার্ত কেউ মনে, উড়িবে তোমার তাওহিদের নিশান পশ্চিমের পানে। তোমারি আগমনে..... আজি এই যুদ্ধের ডামাডোলের ধ্বংসস্তূপে, ছিন্নভিন্ন লক্ষ দেহের নিষ্পাপ জীবন বিনাশে, ফিরিয়ে দিবে তুমি অস্তিত্বহীনে আশার প্রাণ, আবার শুনিবে ধরণী কন্ঠে তোমার স্রষ্টার আজান।। তোমারি আগমনে..... আজি এই হারানো গৌরবদীপ্ত স্মৃতিচারণে, মনে আবার আশা জাগিয়াছে ভুলে যাওয়ার কালে, উড়াইবে তাওহিদের নিশান এই সুবিশাল সমতলে, আশা জাগিয়াছে লক্ষ কোটি আহত তরুণ প্রাণে।। তোমারি আগমনে..... (জালাল আহমেদ) আরতগ্রুল বিন সোলায়মান শাহ্ পর্ব-১ 

ইয়াসিচেমেন যুদ্ধঃ আরতগ্রুল গাজী যখন সুলতানের নয়নমণিঃ পরবর্তী পর্বে পাবেন ইনশাআল্লাহ......

Post a Comment

0 Comments