বিশ্বস্থ সঙ্গীনী | প্রিয়, ভালোবাসার গভীরতা কী জানো? রোমান্টিক কথা

বিশ্বস্থ সঙ্গীনী  


প্রিয়, ভালোবাসার গভীরতা কী জানো? 
 তুমি মৃদু হেসে বলেছিলে, " ভালোবাসার কোনো গভীরতা নেই। 
অবাক হয়ে কহিলাম, কেনো? 
 মিষ্টি সুরে ঠোঁটের পাপড়ি নাড়িয়ে বুকে হাত রেখে বলেছিলে, 
এই হৃদয়ে যতদিন তুমি আছো ততদিন মোর ভালোবাসা আছে। 
 সন্তুষ্ট চিত্তে তোমার হাত স্পর্শ করে কহিলাম, তোমার হৃদয়খানী আমার কাছে অতুলনীয় ।
 তখন তুমি কি ভেবে অমলিন চোখে স্বর নামিয়ে বলেছিলে একটা প্রশ্ন করি প্রিয়? -প্রশ্ন একটা কেনো হাজারটা করতে পারো। 
-আমি তোমাকে ব্যাতিত কোনো কিছুই ভাবতে পারি না।
 - ও তাই ? 
- হুম, এক মুহুর্তের জন্য তোমার মায়া ভরা মুখ ভুলতে পারি না, আমি সবকিছু পেয়েও কেমন যেনো একটা শূন্যতা অনুভব করছি, কেমন যেনো একটা অপূর্ণতা আমার মধ্যে বিরাজ করছে। 
 কষ্ট গুলো চেপে হাসি মুখে শান্তনার ভাষায় কহিলাম, কাছে পাওয়াটাই কী

ভালোবাসা?
 দুর থেকে ভালোবাসার মানুষকে অনন্তকাল ভালোবেসে যাওয়াটাই প্রকৃত ভালোবাসা।
 পাশে থাকা ব্যাগ থেকে তেতুল আচাড় বের করলাম আর অল্প মুখের ভেতর নিয়ে জিহ্বা দিয়ে স্বাদ আস্বাদন করছি , আমি জানতাম তেতুল আচাড় তাহার প্রিয়।
 যতসময় , না খাবে, ততসময় সে এপার ওপার করবে, একটা সময় পর সে আমার হাত থেকে নিয়ে, তেতুল আচাড় খেতে শুরু করলো আর অবলিলায় এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, দুর থেকে ভালোবাসার অনুভুতিতা অনেক কষ্টের, প্রিয় ।
 মনে হয়, কেউ পিছন থেকে গলায় রশি দিয়ে ধরছে, মাঝে মাঝে তোমার অনুপস্থিতি অনেক কষ্ট দেয় প্রিয়, শ্বাস নিতেও অনেক কষ্ট হয়।
 আমি আবারো ভালোবাসার গভীরতা জানার জন্য মজা করে বললাম, ভালোবাসাটা হলো অন্যের হাতে থাকা তেতুল আচারের মতো, যতসময় কেউ স্বাদ আস্বাদন না করছে, ততসময় সে খাওয়ার জন্য ছটপট করবে, আর খাওয়ার পর তেতুল আচার মূল্যহীন হয়ে যায়। 
 একজন বিজ্ঞ নারীর মতো সে কথা গুলো খুব সহজে বুঝে নিলো, আর সাইট ব্যাগ থেকে একশত টাকার পুরাতন নোট বের করে বললো, তোমার কাছে আমার মূল্য এই পুরাতন টাকার মতো, টাকা নতুন বা পুরাতন হলে সবখানেই একই দামমমমম! কী বলতে চাচ্ছে বুঝতে পেরে আমি ততক্ষণাৎ বাধা দিয়ে বললাম থাক বলতে হবে না, চলো বাড়ি যাই, আর কপালে মিষ্টি চুম্বন একে বললাম সুখবরের জন্য অপেক্ষা করো প্রিয় 😊

Post a Comment

0 Comments