ভাইয়া কিছু টাকা দাও
লেখা মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু
সাজগোজ আর স্টাইলে জামা কাপড় পরিধান করে ফ্রেন্ড বন্ধুদের নিয়ে হাসি আনন্দ ফুর্তি করে ছায়ানীড় ছাত্র হোস্টেলের পাচতালা থেকে শাহজালাল সিটি কলেজের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। হাটতে হাটতে একটা শপে গিয়ে একাধিক কলম ক্রয় করলাম এমন সময় একটা আট নয় বছরের একটা ছোট মেয়ে
আমাকে ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকতেছে!
আমি অবাক হয়ে ফিরে তাকিয়ে
দেখি একটা ছোট্ট মেয়ে আমাকে ডাকছে..... গায়ের ময়লা ছিঁড়া
একটা জামা পড়ে আছে!!
....
মেয়েঃ ভাইয়া আমাকে কিছু টাকা দাও।
আমিঃ কেন?
মেয়েঃ কাপড় কিনবো।
আমিঃ তাই?
মেয়েঃ হ্যা, ভাইয়া।
আমিঃ তুমি কোথায় থাকো?
মেয়েঃ ঐ যে বাসাটা দেখছেন ওখানে।
আমিঃ তোমার বাবা কি করে?
মেয়েঃ আমার বাবা নেই।
আমিঃ ও মা, সো স্যাড।
মেয়েঃ ভাইয়া দিবে কিছু টাকা?
আমিঃ হ্যা, অবশ্যই।
মেয়েঃ ভাইয়া তাহলে তাড়াতাড়ি দাও।
আমিঃ এই নাও তোমাকে কিছু টাকা দিলাম।
মেয়েঃ ভাইয়া তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমিঃ এই ওয়েট, তোমার মা নেই?
মেয়েঃ আছে ভাইয়া।
আমিঃ মা কি করেন?
মেয়েঃ ভাইয়া মা মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে যাও।।
....
আসলে এই ছোট্ট মেয়েটির ভাইয়া ডাক শুনতে আমার কি যে
ভালো লাগছিলো! তা বলে বুঝাতে পারবনা এর জন্য আমি ইচ্ছে
করেই তাকে অযথা প্রশ্ন করেছি। আসলে আমাদের সমাজে সার্চ/
খুজলে এরকম অনেক অসহায় শিশু পাওয়া যাবে যাদের বাবা আছে কিন্তু
মা নেই, অথবা মা আছে বাবা নেই। এরকমও পাওয়া যায় যার
কেউ নেই। একটিবার চিন্তা করে দেখুন তাদের জীবন কিভাবে
চলছে? কিভাবে তারা দুবেলা দুমুঠো ভাত খাচ্ছে? এসব যদি আমরা চিন্তা
করতে পারতাম তাহলে সমাজে কোনো শিশুকে নির্যাতন,
নিষ্পেষণ, নিপীড়নের শিকার হতে হত না। আসুন আমাদের সবাইকে
নিজের জায়গা থেকে যেটুকু পারি ঐ সুবিধা বঞ্চিত, এতিম, বিকলাঙ্গ, অসহায়
শিশুদের সাহায্য করার চেষ্টা করি।
প্রকাশকালঃ 08 / aug/ 2015
0 Comments