- একাকিত্ব বলতে কিছু নেই ।
- লেখক মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু
----------------
একাকিত্ব কোনো দূর্বলতা নয়,,
জাস্ট একটা অভিজ্ঞতা ।
একাকিত্ব মানে হলো, নিজের সাথে নিজেই সেক্রিফাইছ করা ।
শতভাগ ছেলে/মেয়েরা একাকিত্ব বেঁচে নিতে না
পারলেও নিতান্তই খুব কম সংখ্যক ছেলে/মেয়েরা বেঁচে নিয়েছে।
তাদের সাথে একাকিত্ব লাইফের স্মৃতি গুলো জড়িয়ে আছে বলেই সেই লাইফকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে ।
এই লাইফে নেই কোনো কষ্ট , নেই কোনো দুঃখ ।
এমনকি কাউকে হারানোরও ভয় থাকে না।
আকস্মিক ভাবে চলে আসা কাউকেও এই একাকিত্ব লাইফে জায়গা দেওয়া তো দুরের কথা মুখ ফুটে কথাও বলবে না ।
একাকিত্ব লাইফটা খুবই অদ্ভুত,, প্রিয় জন বলতে কাউকে নির্দিষ্ট করে মনের ভেতরে রাখা হয় না,
নির্দিষ্ট করে কথা বলা লাগে না।
রীতিমতো স্বীয় কাজকর্মের ফাকে ফাকে কাউকে নিয়ে ভাবা হয় না।
প্রিয় জনের দেয়া কষ্ট নিজেকে ধুকরে ধুকরে শেষ করার কোনো দরকার পড়ে না ।
দরকার পড়ে না প্রিয় জনের কিঞ্চিত অবহেলার,,
ডাবল ভাই/বোনদের কাছে অবহেলাটা মনে হয়, ,,
""প্রিয়জনের মৃত্যু হয়তো এতটুকু কাদায় না যতটুকু কাদায় প্রিয়জনের অবহেলায় ""।
সত্যি কথা বলতে কি,,,,,
অবহেলার মাত্রাটা যখন বেড়ে যায়
তখন ভালোবাসার ইচ্ছেটাও হারিয়ে যায়।
বহু পাগল প্রেমিক/প্রেমিকাও অবহেলা সহ্য করতে না পেরে সম্পর্ক ছিন্ন করে মনের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে ।
তারা নিরবে ভালোবেসে যায়,, প্রিয় জনের পরিবর্তে চোখের জলই হয়ে যায় তাদের জীবন সঙ্গী ।
চোখের জল দিয়ে যাদের জীবন গাঁথা, তাদের আবার দুঃখ কী?
একাকিত্ব মানুষ গুলো চোখ মেলে তাকাতে পারে,
অনেক হাসতে পারে, চিরকাল সেই হাসির মাত্রাটা স্থায়ী থাকে ।
পিছন ফিরে কাউকে দেখে না। কারো সাথে "হাই" "হেলো" থেকে শুরু করে "কেমন আছো" পর্যন্ত কথা গুলো থেমে থাকে ।
কথা বাড়িয়ে নিজের ফিলিংসটাকে কাজে লাগিয়ে অন্যের উপর মায়া বাড়াতেও চায় না ।
স্বীয় গতিতে লাইফকে সেক্রিফাইছ করে এগিয়ে যাচ্ছে সেই একাকিত্ব জীবন গুলো ।
তার বাস্তব প্রমাণ হচ্ছে এই গল্পের লেখক , কেননা একাকিত্ব জীবনে আছি বলেই তো সুন্দর করে সাজিয়ে ঘুচিয়ে লেখাটা উপহার দিতে পেরেছি।
বড় একা আমি।
নিজের ছায়ার মত,
শূন্যতার মত,
দীর্ঘঃশ্বাসের মত,
নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মত,
নির্জন নদীর মত,
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত,
মৌন পাহাড়ের মত,
আজীবন সাজাপ্রাপ্ত দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর মত,
বড় একা আমি
বড় একা



0 Comments