গল্প ""মৃত্যুর পরে একমুঠো  মাঠি দিও মোর কবরে"" । লেখক মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু ।

Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | গল্প ""মৃত্যুর পরে একমুঠো   মাঠি দিও মোর কবরে"" । লেখক মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু ।
গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে

দারিদ্র্য পরিবারে রাজুর জন্ম। রাজুর বাবা সামান্য বেতনে সরকারী চাকুরী করেন। 

এই সামান্য বেতনে পরিবারের ভরণপোষণের ভার ও তার লেখাপড়ার খরচ চালানো উনার পক্ষে  সম্ভব ছিলো না। 

তাই সে পড়াশোনার পাশাপাশি একটা গাড়ী ওয়ার্কশপে কাজ করে নিজের পকেট খরচ চালাতো।

আর বাকী সময় গুলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করতো।

গরীব ছেলে বলে কিছু বিত্তশালী বাবার অহংকারী  বন্ধুরা কখনোই তার সঙ্গে মিশত না। 

বরং ঘৃণার চোখে দেখতো। 

ভালোভাবে দু এক কথাও বলত না। 

তবে সে সবার সাথে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করা সত্বেও বারবার অপদস্থ ও লাঞ্ছিত হতো।

তথাপি সে নিরাশ হতো না। 


সবচাইতে ঘনিষ্ঠ একটা বন্ধু ছিলো রাজুর।

বিপদে ছিলো বন্ধুর আসল পরিচয় ।

সুখে দুঃখে রাজু নামের ছেলেটার পাশাপাশি থাকতো। 

কষ্ট পেলে একসাথেই কাদতো।

রাজু গর্ববোধ করে ধ্বনিবিহীন মনে মনে বলে উঠল , 

""বেশি বন্ধুর প্রয়োজন নেই , 

বাস্তব জীবনে একজন বন্ধুই যথেষ্ট।""   

বলে উষ্ণ চায়ের ক্বাপে চুমুক দিতেই বন্ধুটার প্রশংসা করে বলে উঠল

""বন্ধুটা ছিলো মনের মতন

কষ্ট পেলে করত যতন,

একসাথে থাকবো

যতদিন বাচবো""।

এভাবে বন্ধুকে নিয়ে ভাবনায় পড়ে থাকলো। 

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো ভাবনাটাও ফুরালো না।

হঠাৎ বিদ্যুৎতের ন্যায় চমকালো আকাশ।

সঙ্গে সঙ্গে মেঘের তীব্র গর্জনে প্রচন্ড বৃষ্টি নেমে আসলো।  

শীতল তম বায়ূ জানালা দিয়ে প্রবেশ করে ঘরের জিনিশ পত্র নড়াচড়া করছে।

রাজু এমন মারাত্মক আবহাওয়া দেখে ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে থাকলো।

 মুঠোফোন হাতে নিয়ে দেখলো টু পার্সেন্ট চার্জ আছে। 

একটু সময় ইউজ করলেই মোবাইলের প্রাণ নিঃশেষ হয়ে যাবে।

মোবাইল বালিশের কোণে রেখে  বাঙালির ভালোবাসার গল্প বইটি দারুণ আগ্রহের সহিত পনেরো পৃষ্ঠা পড়ে নিলো।

খুব অদ্ভূত অনুভূতি ফিল করলো। 

সে ভালোবাসার গল্প পড়তে পড়তে নিজের ভালোবাসার মানুষের কথা ক্ষণিকের জন্য ভাবতে থাকলো।

আসল ঘটনা তুলে ধরি,

রাজু  নীলিমা নামের একটা  সুন্দরী মেয়েকে ভালোবাসে ।

 সে বছর দুয়েক ধরে তার সাথে কথা বলে আসছে।

 তাকে নিয়ে সে মনের ভেতরে অনেক গল্প উপন্যাস লিখেছে। 

জীবন সাথী করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ে থাকতো।

কিন্তু এখনো সে তার মনের ভেতরে ধারণকৃত না বলা কথা বলতে পারে নি।

অনেকবার প্রচেষ্টা চালানো সত্বেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ।


বিছানায় শুয়ে শুয়ে রাজু কষ্ট বিবর্ণ মন নিয়ে মেয়েটার কথা ভাবছে, ""আর দেরী করা যাবে না , সুযোগ বুঝেই আগামীকালই মেয়েটিকে নিজের না বলা কথা বলে দিবো ""

বাবা মার সঙ্গে রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর  চেষ্টা চালালো ।

কিন্তু বাহ্যিক চক্ষু বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ অনুভূতির চক্ষু খোলা থাকিল।

সমুদয় রাত মেয়েটির কথা ভাবতে ভাবতে ক্ষণিকের জন্য ঘুমটা পূর্ণ হলো না।

সকাল হতে না হতেই ব্রেকফাস্ট করে ঘর থেকে বেরিয়ে নীলিমার বাবার  বিশাল বড় অট্টালিকার পিছনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়াতলে বসলো।

আর আপন মনে  হ্যাঁডফোন দিয়ে গান শুনলো।

রাজু এখানে প্রতিনিয়তই সকালে আসত।

আর নীলিমা কলেজে যাওয়ার সময় দেখা করে যেতো।

সেদিন নীলিমার সঙ্গে কলেজের কোনো বান্ধবী নেই। 

একাকী তার সামনে উপস্থিত হলো।

প্রতিদিনের মতো তাদের কথাবার্তা চলছে।

আর দুজনে মৃদু স্বরে একে অপরের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত হাসি হাসছে। 

কী চমৎকার অনুভূতি!!

রাজু কিছু না ভেবে হঠাৎ করে মেয়েটাকে বুকের মধ্যে  জমে থাকা

""I Love You""  এই  তিন অক্ষরের প্রীতিপূর্ণ শব্দ  অর্থাৎ আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে দিলো।

নীলিমা এটা শুনার পর  নীচের দিকে হা করে তাকিয়ে ফ্যাকাশে মুখে গম্ভীর হয়ে বসে থাকলো।

মুখে হাসি নেই। 

সাড়া শব্দ কিছুই নেই।

সে নিস্তব্ধ হয়ে রাজুর কাছ থেকে বিদায় না নিয়ে কলেজের দিকে অগ্রসর হলো।


মাস  খানেক চলে গেলো ।

 এখনো নীলিমার সাথে কথাতো তো দুরের কথা দেখা সাক্ষাত হলো না।

 পূর্বের মতো সেজেগুজে সে কৃষ্ণচূড়ার তলে এসে বিমর্ষ মনে উপস্থিত হলো।

নীলিমার বান্ধবী রাজুকে  দেখতে পেয়ে তার সামনে গিয়ে একটা চিঠি  হাতে ধরিয়ে বললেন, ""এই চিঠিটা আপনার। এটা পড়ে নিও""।

তাড়াতাড়ি করে খাম থেকে চিটি খুলে পড়তে থাকলো।

 """রাজু"""

কেমন আছো ? আশা করি তুমি ভালো আছো। কিন্তু আমি ভালো নেই।

আমি কখনো আশা করতে পারি নি ,

সেদিন তুমি আমাকে ....................চি চি চি!!

আমি তোমাকে বন্ধু হিসেবে যথেষ্ট রেস্পেক্ট করতাম। কিন্তু তুমি বন্ধুর মর্যাদা দিতে পারলানা । 

তাই তোমাকে কখনো বন্ধু ভাববো না।

আর তুমি তো জানো, আমি বিত্তশালী পরিবারের অতি আদরের একমাত্র মেয়ে।

 আমার প্রতিদিন হাত খরচে যত টাকা লাগে তা তোমার পক্ষে এক মাসে রুজি করা দুঃসাধ্য।

তুমি গরিবের ছেলে, আর আমি উচ্চ বংশের সম্পদশালী পরিবারের মেয়ে।

তোমাকে বিয়ে করলে আমার ফ্যামিলির মান সম্মান ইজ্জত মর্যাদা সব ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

সব কিছু তো বুঝতে হবে কেননা আমার কাছে আমার পরিবারের সম্মান বড় , প্রেম বড় নয়।

তাই তোমাকে ফিরিয়ে দিলাম। 

ফ্রেন্ডশিপের দাবী নিয়ে কোনোদিন আমার মুখোমুখি হলে আমার মৃতমুখ দেখা ছাড়া উপায় থাকবে না।

 আর আমাকে চিরতরে ভুলে যেও।

তোমার মৃত বন্ধু

নীলিমা 



অবরিত চোখের জল চিঠিতে পড়ে অর্ধেকটাই ভিজে গেছে। 

লাল টকটকে  চোখের কোণে জমে থাকা রুপালী অশ্রু গুলো চকচক  করছে।

অন্যদিকে টিস্যু পেপার দিয়ে মুছতে মুছতে

সেইদিনের মতো হাজারো দুঃখ নিয়ে বাড়ির  দিকে রওনা দিলো। 

রাজুর দুঃখ  বুঝার মতো কারো শক্তি বা ক্ষমতা নেই।

তাই সে কারো কাছে শেয়ার না করে দরজা লাগিয়ে রুমের ভেতরে একাকী বসে আছে।

ঘন্টা পাচেক কষ্টভরা মন নিয়ে বাবা মার সাথে 

ডিনার করতে বসল।

বাবা তাকে এক এক করে দিকনির্দেশক উপদেশ দিলেন। বাবার কথা গুলোতে সে অন্যরকম প্রেরণা খুজে পেলো। জীবন যখন প্রিয় মানুষের দেয়া কষ্টে অসহনীয় হয়ে উঠে, তখন কীভাবে বাচতে হয় সেটার উপায়ও  সে বাবার দেয়া উপদেশ গুলোতে বুঝতে পারলো।


খাওয়া দাওয়া সেরে বিছানায় শুয়ে শুয়ে  নিস্তব্ধ মনে  একদৃষ্টিতে রাজু প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা ভাবতে থাকে, যেভাবেই হোক লেখাপড়া সমাপ্ত করে নীলিমার বাবার মতো ধন সম্পদের মালিক হতে হবে।

হঠাৎ দীর্ঘশ্বাস ফেলে করুণ কন্ঠে বলল, ""কেনো গরীব হয়ে পৃথিবীতে আসলাম? গরীবের কী ভালোবাসার অধিকার নেই?

 আমি গরীব ঠিকই, কিন্তু আমার ভালোবাসা তো গরীব নয়।

(চোখ মুছতে মুছতে চিৎকার করে) সত্যি বলছি আমার চেয়ে তোমাকে কেউ ভালোবাসতে পারবে না।

Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে |
গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে

রাত তখন সাড়ে বারোটা ।  

ঘড়ির কাঁটার শব্দ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। 

এমন সময় শা শা শব্দে এক ভয়ানক মেঘের গর্জনের  সাথে প্রলয় সৃষ্টি হয়ে বায়ূর বিকট শব্দে জানালায় ঠাস ঠাসা ধাক্কায়   প্রচণ্ড আওয়াজ হলো।

 এভাবে মিনিট কয়েকের ভেতরে ঘর বাড়ি ভেঙে রাজুর মা বাবা হসপিটালে যাওয়ার পূর্বেই মৃত্যু হয়েছে।

রাজু গুরুতর ভাবে আহত হলো।

জ্ঞানহীন হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা  রাজু যখন জানতে পারলো যে, 

 স্বার্থপর নীলিমার মতো বাবা মা চিরদিনের মতো তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

রাজুর কষ্ট ও চোখের পানি মুছার মতো আপন বলতে কেউ নেই। 

সে সম্পূর্ণ একা হয়ে গেলো । 

অনেক্ষণ কান্নাকাটি করার পর  একটা  সময় পড়ে কান্না থামিয়ে নিলো ।

মন টা পাথরের মতো শক্ত করে বুকের ভেতর দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ছাপা গলায় বলল , ""পৃথিবীতে আপন বলতে একমাত্র মা বাবা ছিল।

মা বাবাকে যখন অকালে হারিয়েছি। তখন আর কাউকে হারানোর ভয় নেই।

আজ থেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জীবন যুদ্ধে নেমে পড়লাম""""


রাজুর জীবন থেকে দশটি বছর কেটে গেলো।

এই সময়ের ভেতরে নীলিমা নামের সেই স্বার্থপর মানুষের কথা কখনো ভুলতে পারলো না।

টি এম বি ভাইরাসের মতো সর্বক্ষণিক তার দেহের শিরা উপশিরায় অবস্থান করে তার অবুঝ মনকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে।


আর এদিকে  নীলিমা বিয়ে করে স্বামীর ঘরে ভালোভাবে জীবন যাপন যাপন করছে।

তার পাচ বছরের একটা কিউট মেয়েও ছিলো।

হঠাৎ  দ্বিতীয় সন্তান প্রসব কালীন সময়ে নীলিমার জীবনে প্রচন্ড অন্ধকার ঘনিয়ে আসলো।

তাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় একটা ক্লিনিকে । 

ক্লিনিকের নাম ছিলো "" নীলিমা ক্লিনিক""

তার স্বামী এই ক্লিনিকের  ডাক্তার ছিলো।

নীলিমার স্বামী বিভিন্ন চিকিৎসা করার পর তাকে আগের মতো  সুস্থ করে তুললেন। 

ও তাদের টুকটকে একটা ছেলে ভুমিস্থ হলো।

মা ছেলেকে কোলে নিয়ে আলতো করে কপালে মৃদু চুম্বন দিয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে একটা মায়াবী হাসি দিলো।


নীলিমা মুখে হাসি দেখে তার স্বামী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন,

 "" তোমাকে বাচানো সম্ভব ছিলো না।

 একটা লোকের আত্মত্যাগে  তুমি নতুন করে এ পৃথিবীটাকে দেখতেছো।

তোমাকে এই অবস্থায় দেখতে পেয়ে একটা লোকের চোখের কোণে দুফোটা অশ্রু বিসর্জন।

মনের মধ্যে দয়ার উর্দ্রেক জাগলো।

তোমার অপারেশনে ছয় লক্ষ টাকার প্রয়োজন ,

কিন্তু আমার সামর্থ্য নেই যে তোমাকে চিকিৎসা করাতে পারবো।

 তোমার দেহে তিনবেগ O Negative রক্তের প্রয়োজন  , অনেক খোজা খুজির পর উক্ত রক্তের সন্ধ্যান পাওয়া  গেলো না।

আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবাণীতে 

তোমার অপারেশনের ছয় লক্ষ টাকা ও তিনবেগ রক্ত ঐ লোকটার শরীল থেকে দান  করা হয়েছে। 

যার কারণে  তুমি নতুন করে তোমার ছেলে মেয়েকে  দেখতে পাচ্ছো।

 জানো  লোকটা কী  বলল ? লোকটা বললো যে, পৃথিবীতে আমার আপন বলতে কেউ নেই, সবাই মারা গেছে। 

কিন্তু তুমি নাকি খুব কাছের কেউ ছিলেন। তোমাকে দেখার পরে সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।

নীলিমা চোখে মুখে অশ্রুর ছাপ পরিলক্ষিত।

আহ্লাদিত হয়ে কাঁদোকাঁদো কন্ঠে তার স্বামীকে বললো, প্লীজ আমাকে বলো লোকটার নাম কী? সে কী করে? আমি তাকে দেখতে চাই ।

আমাকে তার কাছে নিয়ে চলো। -

তার স্বামী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, "" পৃথিবীতে কতো রকমের লোক দেখেছি, কিন্তু এরকম ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করার মতো মানুষ একজনই দেখেছি।

আমাদের এই ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা , যার দয়া ভালোবাসায় আমার মতো শত শত স্বাস্থ্য সেবাকর্মীরা তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারছে ।

 আর উনি এই "" নীলিমা ক্লিনিক "" এখন  তোমার নামে রেজিস্টার করেছেন।

 স্যারের  নাম হলো ""রাজু স্যার""

রাজু শব্দটা শুনার পরে নীলিমা হাউমাউ করে কাদতে থাকলো, তার কান্না থামানো কারো সাধ্য নেই। তাকে নিয়ে আসা হলো রাজুর সামনে । 

Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে |
গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে

বিভিন্ন চিন্তা, ক্রমশ দূর্বল দেহ , একাকীত্ব ও তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়ার কারণে রাজু আর পৃথিবীতে বেচে নেই।

নিথরদেহটার চোখে অনেকদিনের জমানো অশ্রু টলটল করছে। মুখে কেমন মায়াভরা হাসি । প্রাণহীন দেহেতে এ কেমন হাসি?

বোধহয় অনেকদিন পরে নীলিমাকে কৃত্রিমভাবে কাছাকাছি দেখতে পেয়ে  শেষবারের মতো হাসি হাসছে।

নীলিমা বুঝতে বাকি রইল যে, রাজু নামের পাগল ছেলেটা আর নেই। 

নীলিমার অশান্ত দেহে চিৎকার করে কেদে চোখের টিপ টিপ জলে  রাজুকে বুকে টেনে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে চিরদিনের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে।

রাজুর রক্তবিহীন হাতে একটা সাদা কাগজ দেখতে  পেয়ে তাড়াতাড়ি করে স্বীয় হাতে নিয়ে পড়তে থাকলো।

""মৃত্যুর পরে একমুঠো

 মাটি দিও মোর কবরে"""


গল্প ""মৃত্যুর পরে একমুঠো 

মাঠি দিও মোর কবরে""

লেখক মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজু

প্রকাশকালঃ ২১/০২/২০১৭ সাল


 Tag:- ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার শ্রেষ্ট গল্প | বিরহের গল্প | কষ্টের গল্প | হৃদয় গ্রাহী গল্প | মনের অনুভূতি কথা | দুঃখের গল্প | বেদনাদায়ক গল্প | ভালোবাসার কষ্টের কথা | গল্পঃ- মৃত্যুর এক মুঠো মাটি দিও মোর কবরে | 


Post a Comment

0 Comments