কবিতা: নিজেরে বিষণ একা মনে হয়-
কবি মোঃ হামিদুল ইসলাম রাজুবিষণ্ণতার গ্লানী যখন সীমা ছাড়িয়ে ফেলে,
মনের ভেতরের অজানা কষ্ট গুলো জমে ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে,
তখন নিজেরে একা, বিষণ একা মনে হয় এই নিষ্টুর ভুবনে।
হৃদয়ের মধ্যচ্ছদায় যখন অসহনীয় যন্ত্রণার ঢুক ঢুক আওয়াজ ধ্বনি প্রতিধ্বনি হয়ে বাইরে বের হয়,
প্রকৃতির নিদারুণ কষ্টের পরাজিত ধ্বনি চতুর্দিকে বেজে উঠে,
তখন নিজেরে একা, বিষণ একা মনে হয় এই নিষ্টুর ভুবনে।
হৃদয়ের একটু খানি অব্যক্ত কথা জানবেই না কেউ,
আকাশে বাতাসে মেঘের আড়ালে যেভাবে চন্দ্র সূর্য ডাকা পড়েছিলো,
ক্লান্ত পথিকের মরুভূমির তপ্ত বালুতে হেটে যাওয়ার কথা যেভাবে ডাকা পড়েছিল।
উর্বর মাটির নীচে যেভাবে মৃত মানুষের প্রাণহীন দেহ ডাকা পড়েছিলো,
সেভাবেই হয়তো ডাকা পড়ে যাবে আমার হৃদয়ের ভেতর জমে থাকা বিবর্ণ কথা ,
কেউ জানবেই না কখনো।
এটা ভেবে, নিজেরে একা , বিষণ একা মনে হয় এই নিষ্টুর ভুবনে।
মহাসমুদ্রের অতুল গভীরে যেভাবে অচেনা অজানা প্রাণীরা
বাইরের জগতে বের হওয়ার জন্য ছুটাছুটি করেছিলো,
সন্তানহারা মা যেভাবে তার সন্তানকে জীবন্ত
ফিরে পাওয়ার জন্য ছুটাছুটি করেছিলো,
তৃষ্ণার্ত প্রেমিক যেভাবে তার প্রেমিকার শীতল হাতের স্পর্শ পাওয়ার জন্য ছুটাছুটি করেছিলো,,,
এদের মতো আমিও বারবার ছুটে গিয়েছিলাম ভালোবাসার মানুষের কাছে, মনের ভেতরে জমে থাকা কথা গুলো বলতে।
কিন্তু রক্তাক্ত কান্না ভেজা চোখ ও হৃদয়ের ভেতর একরাশ দুঃস্বপ্ন নিয়ে
লক্ষহীন ক্লান্ত পথিকের ন্যায়
একাকি অজানা পথ ধরে ছুটে এসেছিলাম ।
তখন নিজেরে একা, ভীষণ একা মনে হয়েছিলো এই নিষ্টুর ভুবনে।
প্রকাশ কাল: 12!12!2019
-
কবিতাটি সরারসরি শুনুন। ধন্যবাদ আপনাকে ।
0 Comments